খেলোয়াড় জীবনে প্যান্ট গুটিয়ে খেলার কারণ জানালেন প্রশান্ত ব্যানার্জি...

নিজস্ব প্রতিনিধি: সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই। এক্সট্রাটাইম বাংলার লাইভ শো'তে এসে জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "মোহনবাগানে সুব্রত'র অবদান ভোলার নয়। ওর হয়ত টার্ম এন্ড কন্ডিশন নিয়ে কিছু বক্তব্য ছিল, সিনিয়র ফুটবলার হিসেবে। সেটা নিয়ে আমার আর ওর মধ্যে লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কাগজে বিবৃতি-পালটা বিবৃতিতে আরও সরগরম হয়েছিল বিষয়টা। ওটা কিছু না। আজও সুব্রতর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। আমি ফোন করতে ভুলে গেলে, ও কিন্তু ঠিক করে।"
তিনি ফুটবলার জীবনে দু'দলেরই অধিনায়ক ছিলেন। ৭৯ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক, ৮৮ সালে মোহনবাগানের। কিন্তু লাল-হলুদের অধিনায়ক থাকার সময় খুব একটা ভাল যায়নি তাঁর। তার কারণ হিসেবে প্রশান্ত ব্যানার্জি বলেন, "ইস্টবেঙ্গল তখন দারুন টিম। কিন্তু অন্তর কলহের জন্য একটাও ট্রফি পাইনি আমরা। মূলত অবাঙালি খেলোয়াড়দের মধ্যে গন্ডগোলটা লেগে ছিল। পাঞ্জাবি বনাম সাউথ ইন্ডিয়ানদের মধ্যে। যার প্রভাব পড়েছিল দলে।"
দলবদলের সময়ও তাঁকে নিয়ে দারুণ উন্মাদনা তৈরি হতো। ৮৪ সালে যে বারে তিনি মোহনবাগানে আসেন, সেই বার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়ে গেলেও, তিনি মোহনবাগানে খেলেন। প্রাক্তন মিডিও বলেন, "ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে জেনে মোহনবাগানের শৈল চ্যাটার্জি আমার সঙ্গে পুলিশ দিয়ে দিল। যাতে আমি নিশ্চিন্তে বাংলা দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারি। আমি তখন সন্তোষ ট্রফির জন্য বাংলা দলের হয়ে অনুশীলন করছি।"
খেলোয়াড় জীবনে তিনি প্যান্ট গুটিয়ে খেলার কারণও জানালেন সেই সময়কার প্রসূন ব্যানার্জি, ভাস্কর গাঙ্গুলির সতীর্থ। তিনি বলেন, অন্য কোনও কারণ নয়। দৌড়ানোর সুবিধার জন্যই এটা করতাম।
কোনও অর্থের বিনিময়ে নয়, শৈলেন মান্নার অনুরোধেই তিনি বাংলাদেশের ধানমুন্ডির হয়ে একবার খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। সাতের দশকের এই বাঁ পায়ের শিল্পী ফুটবলার বলেন, তখন জানতাম না ধানমুন্ডি অবনমন বাঁচার জন্য খেলছে। মান্নাদা বলল চলে গেলাম।
বাংলা থেকে অনেক আগে এ লাইসেন্স করেও, তেমন কোনও ক্লাবের প্রস্তাব পান না প্রশান্ত ব্যানার্জি। তার জন্য অনুশোচনা রয়েছে ওনার।