এক্সট্রাটাইম ওয়েব ডেস্ক : ২০০৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ফাইনালের অতিরিক্ত সময় সেই কলঙ্কিত ছবি অনেকের চোখে এখনও ভাসে। খেলার ফলাফল তখনও পর্যন্ত ১-১। ইতালির মাতেরাজ্জির সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর তাঁর দিকে ফিরে গিয়ে 'হেড বাট' করছেন জিনেদিন জিদান। এরপরেই রেফারি তাঁকে লালকার্ড দেখান। ফলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ফরাসি তারকা। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে সেই ন্যক্কারজনক ঘটনায় বিস্মিত হয়েছিল গোটা বিশ্ব। ইতালি চ্যাম্পিয়ন হলেও, 'হেড বাট'এর সেই ঘটনা কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি মাতেরাজ্জির দিকে আঙ্গুল তুলে ফুটবলপ্রেমীরা ইতালিকে ধিক্কার জানায়।

কিন্তু ম্যাচের এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় কেন জিদান মেজাজ হারান? কেন এমন 'আন স্পোর্টিং' কাজ করেছিলেন? সেই বিশ্ব কুখ্যাত 'হেড বাট'এর পেছনে আসল কারণ কি? দীর্ঘ ১৪ বছর পর সেই ন্যক্কারজনক ঘটনার স্বীকারোক্তি করলেন ইতালির প্রাক্তন ডিফেন্ডার। জানালেন কেন সেদিন ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিদান। কতখানি অশালীন ছিল মাতেরাজ্জির মন্তব্য। ইতালির এই দীর্ঘকায় ডিফেন্ডার বলেন, "সেই ঘটনার জন্য আমি ভীষণ অনুতপ্ত। খুব অনুতপ্ত। সারারাত ঘুমোতে পর্যন্ত পারিনি। বিশ্বাস করুন, জিদানকে গালাগালি করতে চাইনি। আসলে ওকে আটকাতে পারছিলাম না। তাই গাটুসো বারবার ধমক দিচ্ছিল। তাই জিদানকে আটকাতে ওর শার্ট ধরে বেশ কয়েকবার টানাটানি করি। ভেবেছিলাম ঠান্ডা মাথায় জিদান খেলে যাবে। কিন্তু ও যে আমার ফাঁদে পা দেবে, সেটা স্বপ্নেও কল্পনা করিনি।একবার শার্ট ধরে টানায় আমাকে বলে বসল, তুমি কি আমার শার্টটা নিতে চাইছ? আমি মাথা গরম করে বলে বসি, তোমার শার্ট নয়, চাইছি তোমার বোনকে।"

সম্প্রতি ইতালির একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম 'নায়ক'। জিদানকে আটকানো তাঁর কাজ ছিল। সেই কাজটা ঠিকমত না করতে পেরেই, তিনি খেলার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে একটা ঝামেলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। এবং তিনি যে সেই ট্যাকটিক্সে সফলও হন। সেই কলঙ্কিত অধ্যায় সম্পর্কে তিনি আরও যোগ করেছেন, “ঝামেলা হোক চাইছিলাম। ফাইনালের মঞ্চে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রত্যেকেই জিততে চায়। তবে বাইরে বসে শান্ত থাকার কথা বলা খুবই সোজা। কিন্তু আমরা যারা মাঠে থাকি তাদের জন্য শান্ত থাকা খুবই কঠিন। তবে ম্যাচ জেতার পর আমরা সবাই আনন্দে ভেসে গিয়েছিলাম। সেবার আমাদের দলটার কথা ভাবুন। পির্লো, গাতুসো, বুফো'র মতে ফুটবলার দলে ছিল।"