মন ভাল করা খবর। ক্রমশই সুস্থ হয়ে উঠছে ক্রোমা ও পূজার সদ্যোজাত...

নিজস্ব প্রতিনিধি: মন ভাল করা খবর! ক্রমশই সুস্থ হয়ে উঠছে ক্রোমা ও পূজার চার দিনের সদ্যোজাত কন্যা। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভয়ের কোনও কারণ নেই। ছোট্ট শিশুটির বিলিরুবিন এখন অনেকটাই কম। ২২ থেকে একলাফে ১৩তে নেমে গেছে। এটাই চেষ্টা করছিলেন ডক্টর কোলে। আরও দু'দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর শিশুটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ক্রোমা ও পূজাকে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সোমবার ডাক্তার জানিয়েছিলেন সদ্যোজাত শিশুটির জন্য রক্তের প্রয়োজন। বিলিরুবিন না কমলে রক্ত দিতে হতে পারে। নইলে ব্রেন এফেক্ট করবে। ক্রোমা ও পূজা লাইফ কেয়ার থেকে রক্তের ব্যবস্থা করলেও, শেষ পর্যন্ত তা লাগেনি। শিশুটি চিকিৎসা ব্যবস্থায় সাড়া দেওয়ায়।
ক্রোমা ও পূজার সদ্যোজাত কন্যার রক্তের প্রয়োজন। এই খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে গোটা ময়দান। ফোন চালাচালি শুরু করে দেন ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সমর্থকদের মতই উদ্বিগ্ন থাকা আসিয়ান জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক থেকে মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু। তাঁরাও তাঁদের কাছের মানুষদের তৈরি থাকতে বলেন। ক্রোমার স্ত্রী পূজা বলছিলেন, 'সবাই আমাদের মেয়ের জন্য এগিয়ে এসেছে। সত্যিই আমরা এই মানুষগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ।'
হাসপাতাল থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে কবে সদ্যোজাত মেয়ে তাঁর কোলে ফিরবে তার প্রতীক্ষায় রয়েছেন মা পূজা। চার দিন কাছে পেতে না পেতেই মেয়েকে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে। জন্ডিসের জন্য। করোনা ভাইরাসের জন্য সদ্যোজাতকে ভর্তি নিলেও, মাকে নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পূজা বলছিলেন, 'ওকে ছাড়া আর থাকতে পারছি না। হাসপাতালে ওর মুখটা দেখলে কষ্ট লাগে। চোখে ব্যান্ডেজ। মুখে নল। শুধু মন শক্ত করে আছি ক্রোমার জন্য। অস্ত্রোপচার নিয়েও দৌড়ে বেড়াচ্ছি। ও ফিরে আসবে আমার কোলে, এই প্রতীক্ষায়। ভগবান সবার মঙ্গল করুন।'