CWG 2022 : সোনা জেতাটা হল না - দেশকে গর্বিত করেও আক্ষেপ রয়ে গেল সংকেতের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের হয়ে পদকের খাতা খোলেন ভারোত্তলক সংকেত সারগার। ৫৫ কেজি বিভাগে রুপো জেতেন তিনি। যদি ডান কাঁধে চোট না পেতেন, তাহলে সোনা জয় নিশ্চিত ছিল সংকেতের জন্য। আর সেই কারণে পোডিয়ামে কিছুটা হতাশ দেখাচ্ছিল সংকেতকে।
মহারাষ্ট্রের সাংলির বাসিন্দা সংকেত। বাবা মহাদেব আনন্দ সাগর চা-পানের দোকান চালান, আর ছেলে ব্রিটেনে দেশকে গর্বিত করলেন। এবং তিনি মনে করেন, এই পদক জয়ের মাধ্যমে পরিবারের ভাগ্য পাল্টে যেতে পারে।
এক সর্বভারতীয় মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংকেত বলেছেন, "আমি আশা করব এই পদক আমার পরিবারের ভাগ্য বদলে দেবে। আমি চাই না আমার বাবা পানের দোকান চালান।"
পদক জেতার পর বাবা-মায়ের অনুভূতি কেমন ছিল? এই নিয়ে সংকেত বলেন, "রুপো পদক জয়ের পর, আমি আমার বাবা-মায়ের সাথে কথা বলি। আমার বাবা বলেছেন, 'সোনা আসলে খুব ভালো হত, তবে আমি খুশি।' আমার বাবা বলেছেন, 'সোনায় ভাগ্য বদলে যায়।' আমার পরিবার খুশি ছিল এবং আমায় উৎসাহিত করেছিল আমায়। তবে সোনা জেতাটা দরকার ছিল।"
এরপর সংকেত আরও বলেন, "এমন অনেক অ্যাথলিট রয়েছেন যাদের জীবন বদলে গিয়েছে পদক জিতে। সরকার অনেক সাহায্য করেছে। আমি আমার পরিবারকে সাহায্য করতে চাই। ওনারা আমার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। আমি ওনাদের কাছে ঋণী। আমি আমার পদক ওনাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে চাই। এটি কেবল আমার শুরু এবং আমি জানি আমায় অনেক দূর যেতে হবে।"
ক্লিন অ্যান্ড জার্কে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রয়াসে ১৩৯ কেজি তুলতে গিয়ে কাঁধে চোট পান সংকেত। যার ফলে মাত্র এক কেজির জন্য সোনা ছিনিয়ে নেন মালয়েশিয়ার বিন মহম্মদ আনিক।
এই নিয়ে হতাশ সংকেত বলেছেন, "কেই বা চোট পেতে চায়? কোনও অ্যাথলিটই চান না। কিন্তু খেলার সাথে চোট আঘাত লেগেই থাকে। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সোনা জেতার জন্য, কিন্তু আমি যখন চোট পাই, আমি সব কিছু ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সোনা পাওয়া হল না। আমি শুধু নই, আমার কোচেরাও হতাশ ছিল। আমি ক্ষুব্ধ ছিলাম। ওনারাও আমার কাছ থেকে সোনা আশা করেছিলেন। শেষ অবধি, ওনারা আমায় আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন এবং অনুপ্রাণিত করেছেন আগামী টুর্নামেন্টগুলিতে সোনা জেতার জন্য।"