স্বরূপ দাসকে ইস্টবেঙ্গলে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন স্বয়ং প্রদীপ ব্যানার্জি...

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রদীপ ব্যানার্জি তাঁকে নেওয়ার জন্য ক্লাবের কাছে সুপারিশ করেন। তারপর ক্লাব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। কিন্তু প্রথমে তিনি রেলের চাকরি ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে রাজি হননি। ক্লাব যখন তাঁকে চাকরির সঙ্গে লাল-হলুদের খেলার প্রস্তাব দেয়, তখন তিনি রাজি হয়ে যান, এবং ইস্টবেঙ্গল সই করেন। এই সব নিয়েই এদিন এক্সট্রাটাইম বাংলা ফুটবল শো'তে এসেছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার স্বরূপ দাস।
তিনি যে বছরে প্রথম ইস্টবেঙ্গলে আসেন, সেই বছরে একাধিক ডিফেন্ডার লাল-হলুদ দলে। তাই কোচ পি কে ব্যানার্জি তাঁকে একাধিক পজিশনে খেলিয়ে ছিলেন। কখনও দুই সাইড ব্যাকে, কখনও স্টপারে, কখনও আবার মাঝমাঠে। তিনি স্টপার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গেও খেলেছেন, খেলেছেন তরুণ দের সঙ্গেও। তবে স্টপারে তাঁকে সবচেয়ে বেশি ভরসা দিয়েছেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। স্বরূপ দাস বলছিলেন, মনাদা বলতেন আমি পিছনে আছি। তোমার ওটা নিয়ে ভাবতে হবে না। তুমি মন খুলে খেল। একটা সিনিয়র এমন ভরসা দিলে যে কেউ ভাল খেলবে।
মোহনবাগানেও তিনি সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গেও খেলেছেন। একই রকম ভাবে তিনি সুব্রতর থেকেও ভরসা পেয়েছেন। স্বরূপের কথায়, বাবলুদা দীর্ঘদিন ধরে মোহনবাগান খেলেছেন। বাবলুদার থেকেও প্রচুর শিখেছি।
ইস্টবেঙ্গলে থাকাকালীন বাংলাদেশের রুমি, আসলাম, মুন্নাদেরকেও পেয়েছেন তিনি। স্বরূপ বলছিলেন, ইস্টবেঙ্গল যতদিন থাকবে, মুন্নার নাম ততদিন থাকবে। অসাধারণ ফুটবলার ছিলেন। যেমন স্বভাবে। তেমন খেলায়।
লাল-হলুদে থাকাকালীন কাগজে পেমেন্ট সংক্রান্ত বিবৃতিতে দিয়ে একবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরের দিন তাঁকে নিজের ভুল স্বীকার করতে বলেছিলেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু তিনি স্বীকার করেননি। উল্টে কর্তাদের বলেছিলেন, আপনারা বলুন, সব পেমেন্ট দিয়ে দিয়েছি বলে যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটা আগে ভুল বলে স্বীকার করুন। তারপর আমি ভুল স্বীকার করব।
তারজন্য অবশ্য কর্তারা কিন্তু আমার খেলার ব্যাপারে কোনও সমস্যা করেননি। আমার এখনও মনে আছে ৯৪ সালে শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আমরা ২-১ গোলে জিতেছিলাম। গোলার মতে শটে আমি একটা গোল করেছিলাম। আরেকটা করেছিল বাইচুং, বলছিলেন স্বরূপ।