কেরালার কাছে পরাজিত হয়েও ইতিবাচক দিকটিই দেখছেন স্টিফেন কনস্টানটাইন

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আইএসএল ২০২২-২৩ মরশুমের শুরুটা একেবারেই ভালো হল না ইস্টবেঙ্গল এফসির জন্য। কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ১-৩ ফলে হারতে হয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। এবং এই হারে স্বাভাবিকভাবেই অখুশি ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন।
ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে স্টিফেন প্রতিপক্ষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই জয়ের জন্য। তবে নিজেদের ভুল হলেও ইতিবাচক দিকটিই দেখছেন স্টিফেন। তিনি বলেছেন, "শুরুতেই আমি বিপক্ষের কোচকে অভিনন্দন জানাতে চাই ওদের জয়ের জন্য। আমি কোনও অজুহাত দিতে চাই না। তরুণদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে ৬-৭ সপ্তাহ অনুশীলন করতে পেরেছি আমরা। তবে এটাই সত্যি ঘটনা। প্রথমার্ধে আমরা সুযোগ পেয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের মনসংযোগে ঘাটতি ছিল।"
"লুনা যখন গোলটা করে, তখন ওকে ওই জায়গায় পৌঁছতে দেওয়া ঠিক হয়নি। ওর সঙ্গে আমাদের কারও লেগে থাকা উচিত ছিল। আমাদের তো ভুল হয়েছেই। এর মধ্যেও কিছু ইতিবাচক ব্যাপার আছে। ব্লাস্টার্স গতবার লিগে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল। ওদের সেই দলই খেলছে, সেই কোচেরই তত্ত্বাবধানে। প্রথমার্ধে আমরা ওদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারাই। পরের দুটো গোলই আমরা নিজেদের দোষে খেয়েছি। এই ধরনের ম্যাচে মনসংযোগ নষ্ট হলে সফল হওয়া কঠিন।"
এদিকে ম্যাচের শেষ ২০-২৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়দের দম ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে মনে হচ্ছিল। এই নিয়ে স্টিফেন বলেছেন, "শারীরিক সক্ষমতার থেকেও বেশি যেটার অভাব হয়েছে, তা হল ম্যাচ প্র্যাকটিস। একটা দল যত ম্যাচ খেলে, তত তারা ম্যাচের উপযোগী হয়ে ওঠে। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ওটাই এ মরশুমে আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল এবং আমরা ভালই খেলেছিলাম। ঠিকঠাক পরিবর্তন করে খেলোয়াড় নামিয়েছিলাম।"
তবে এই হার ভুলে এবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে নামার চ্যালেঞ্জ নিলেন স্টিফেন। তিনি বলেছেন, "হার মোটেই ভাল জিনিস নয়। তবে এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। সামনে আমাদের ম্যাচ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে, কলকাতায়। এখন সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে আমাদের।"
ইনপুট - ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ওয়েবসাইট