প্রথমার্ধে প্রবল লড়াই সত্ত্বেও কেরালার কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল

কেরালা ব্লাস্টার্স - ৩ (আদ্রিয়ান লুনা, ইভান কালুঝনি - ২)
ইস্টবেঙ্গল এফসি - ১ (অ্যালেক্স লিমা)
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : গত দুই বছরের তুলনায় এই বছর তুলনামূলক ভালো ফল করবে ইস্টবেঙ্গল, এমনই আশা ছিল সমর্থকদের। কিন্তু ধারা বদলাল না লাল-হলুদ ব্রিগেডের। কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে হলুদ জনসমুদ্রের মাঝে কেরালার দ্বিতীয়ার্ধের সুযোগসন্ধানী ফুটবলে মুখ থুবড়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল।
প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল বেশ ভালো শুরু করেছিল। ভিপি সুহের এবং অ্যালেক্স লিমা কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন। এদিকে ডিফেন্সে অঙ্কিত মুখার্জি বেশ কয়েক বার ভুল করছিলেন, যার সুযোগ নিচ্ছিলেন লুনা-জেসেলরা। তবে ইভান গোঞ্জালেজ ও লালচুংনুংগার রক্ষণ বেশ মজবুত ছিল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে কেরালা ব্লাস্টার্স। ৭২ মিনিটে হারমানজোত খাবরার লং বল ধরে ফার্স্ট টাচে গোল করে দেন আদ্রিয়ান লুনা। এক্ষেত্রে ফের অঙ্কিতের ভুল ও গোলকিপার কমলজিত সিংয়ের ভুল পজিশনিংয়ের সুযোগ তোলেন লুনা।
এরপর পরিবর্ত হিসেবে নেমে ইউক্রেনের ফরোয়ার্ড ইভান কালুঝনি দুটি দুরন্ত গোল করেন। ৮২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একা উঠে এসে গোল করেন কালুঝনি।
তবে ৮৮ মিনিটে কর্নার থেকে দুরন্ত ভলিতে গোল করে ইস্টবেঙ্গলের আশা ফেরান লিমা। কিন্তু ৮৯ মিনিটে দুরপাল্লার দুরন্ত শটে নিজের দ্বিতীয় ও কেরালার তৃতীয় গোল করেন কালুঝনি।
এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে অঙ্কিত মুখার্জি, শৌভিক চক্রবর্তী ও সুমিত পাসির খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুহের ও ক্লেইটন সিলভাও নিজেদের পরিচিত ছন্দ দেখাতে পারেননি। কমলজিত একাধিক দুরন্ত সেভ না দিলে ইস্টবেঙ্গল গোলের মালা পড়তে পারত।
তবে এই ম্যাচে অবশ্যই নজর কেড়েছেন অ্যালেক্স লিমা, বেশ কয়েকবার আক্রমণ তৈরি করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের। এছাড়া ডিফেন্সে লালচুংনুংগা অবশ্যই এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সেরা পারফর্মার। কিন্তু হেড কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনকে আরও কাজ করতে হবে দলকে নিয়ে।