ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচ জিতেই শুরু ইস্টবেঙ্গলের, কিন্তু প্র্যাকটিস ম্যাচ হিসেবে জমল না!

এক্সট্রা টাইম বাংলা ওয়েব ডেস্ক: উদ্বোধন হলো ১৩৪তম ডুরান্ড কাপ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইমামি ইস্টবেঙ্গল বনাম সাউথ ইউনাইটেড ম্যাচে, খুব স্বাভাবিকভাবেই শুরু থেকেই দাপট লাল-হলুদের। মরশুমের প্রথম ম্যাচ বলাই যায়। ডাগআউটে বসলেন কোচ অস্কার ব্রুজো।
গোটা ভারতের সংস্কৃতির বিচ্ছুরণ দিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুটবল শটের মাধ্যমে উদ্বোধন হলো ডুরান্ড কাপ। সবই ছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ হিসাবে সাউথ ইউনাইটেড এফসি ছিল একেবারেই আনকোরা। একটা মিনিটের জন্যও ইস্টবেঙ্গলের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি দক্ষিণের ক্লাবটি। ইস্টবেঙ্গলের প্র্যাকটিস ম্যাচটি ভালো করে হলো না। এর মধ্যে সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী। নিজেদের একটি নিশ্চিত গোল সেভ করলেন ডেভিড। বেশ কয়েকবার ফাঁকা জালে বল রাখতে পারেননি সল ক্রেসপো।
এর মধ্যে দূরপাল্লার শটে লালচুনুঙ্গা ১১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দিলেন দলকে। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল সলের। শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গল ছিল ৪-১-৪-১ ফরমেশনে। সিডিএম প্যালেস্টাইনের রশিদ ও সল জায়গা বদল করে খেললেন। সময় বিশেষে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দেখা গেল লাল-হলুদকে। শুরু থেকে ডেভিড লোন স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধে তিনজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে ম্যাচ টাইম দিলেন কোচ। ডেভিডের জায়গায় নামলেন দিমি, বিষ্ণুকে তুলে নামানো হলো নন্ধাকুমারকে, সলের জায়গায় নামলেন জিকসন সিং।
সাউথ ইউনাইটেড দুর্বল দল হলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলা কিন্তু খুব ইমপ্রেসিভ ছিল না। হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি হয়নি বলেই। ৭৩ মিনিটে আনোয়ারকে তুলে প্রভাত লাকড়াকে নামালেন অস্কার। ডিফেন্সে কোনও চাপ ছিল না বলেই এই সিদ্ধান্ত। বিপিনকে নামানো হলো এডমুন্ড লালরিন্দিকার জায়গায়। এডমুন্ড ডানদিক দিয়ে হাফ স্পেসে খেলছিলেন। বিপিন নামার পর নন্ধাকে ডানদিকে ঠেলে দিয়ে বিপিন বামদিক সামলালেন।
কয়েক মিনিট পর ফলও মিললো, দিমির বারানো বল হাফ ভলিতে গোলে রাখলেন, বিপিন। গ্যালারি আবার জাগলো প্রবল গরমে।
এরপর গোলের ব্যবধান বাড়ালেন দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকোস এবং নাওরেম।
৫-০ গোলে ম্যাচ জিতে ডুরান্ড কাপের যাত্রা শুরু করল ইস্টবেঙ্গল।