কোন মারাত্মক চোট নিয়ে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন মহম্মদ সামি? জানতে পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাঁচ বছর পর গোপন কথাটি খোলসা করলেন মহম্মদ সামি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে হাঁটুতে চিড় নিয়েই খেলেছিলেন।ভারতের প্রাক্তন পেস বোলার ইরফান পাঠানের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে এই কথা জানিয়েছেন স্বয়ং 'সহেশপুর এক্সপ্রেস'।
পাঁচ বছর আগের সেই বিশ্বকাপ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সেই বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ১৭.২৯ গড়ে ১৭'টি উইকেট নিয়েছিলেন। ৩৫ রানে ৪ উইকেট ছিল তাঁর সেরা বোলিং। ভারতের হয়ে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট শিকারী ছিলেন তিনি। ৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন উমেশ যাদব। তিনিই ছিলেন দলের সফলতম বোলার। উমেশের পরে তালিকায় দুই ছিলেন সামি।
২০১৫ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গে সামি বলেন, "কখনও কখনও সামনে এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থাকে যে খেলতেই হয়। ২০১৫ বিশ্বকাপে যেমন হাঁটুতে চোট ছিল আমার। হাঁটতেই পারছিলাম না। পেনকিলার ও ইনজেকশন নিয়ে কাজ চালাচ্ছিলাম। ফিজিয়ো নীতিন পটেল এই সময় খুব সাহায্য করেছিল। বিশ্বকাপে পুরো খেলতে পারার আত্মবিশ্বাস ওই আমাকে দেয়। তখন আমার হাঁটুতে একটা অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল যে যন্ত্রণা সহ্য করতে পারলে বিশ্বকাপে চালিয়ে দিতে পারব।" এরপরেই তিনি যোগ করেন, "বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হাঁটুতে চোট পেয়েছিলাম। ফুলে গিয়ে ঊরুর মত দেখাচ্ছিল হাঁটু। প্রত্যেকদিন ডাক্তাররা ফ্লুইড বের করছিল। দিনে তিনটে করে পেনকিলার খেতে হচ্ছিল। তবুও তৎকালীন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি আস্থা রেখেছিলেন।"
সেবার সিডনিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই অভিশপ্ত সেমিফাইনালের প্রসঙ্গ উঠতেই সামি বলেছেন, "সেমিফাইনালের আগে যন্ত্রণা প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল। দলকে সেটা জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম যে আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। তবে সেই অবস্থাতেও মাহি ভাই ও টিম ম্যানেজমেন্ট আমার উপর ভরসা রেখেছিল। যাই হোক, প্রথম স্পেলে মাত্র ১৩ রান দিলাম। তারপর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মাহি ভাইকে বললাম যে আর বেরিয়ে যেতে পারছি না। কিন্তু ধোনি বলল যে ও পার্ট-টাইম বোলারদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। আমি যেন ৬০ রানের বেশি না দিই, সেই চেষ্টা করতে বলল। আমি কেরিয়ারে এমন অবস্থায় আগে কখনও পড়িনি। অনেকেই বলেছিল যে, আমার কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে ভগবানের আশীর্বাদে এখনও খেলে চলেছি।"