ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে স্মৃতি রোমন্থন ঝুলন গোস্বামীর

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : অসাধারণ একটি সফরের অবসান ঘটবে আগামী শনিবার। লর্ডসের মাটিতে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামবেন ভারতের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ঝুলন গোস্বামী।
এবং শেষ ম্যাচ খেলার আগে নিজের আবেগ ও নস্টালজিয়া প্রকাশ করলেন 'চাকদহ এক্সপ্রেস'। জানালেন, কেমনভাবে গড়ে উঠেছে বর্তমান ভারতীয় বোলিং লাইনআপ।
সাংবাদিক বৈঠকে ঝুলন নিজের কেরিয়ার নিয়ে বলেছেন, "যখন আমি আমার কেরিয়ার শুরু করি, আমি ভাবিনি যে এতদিন খেলতে পারব। অভিজ্ঞতাটা দারুণ ছিল এবং প্রতি মুহুর্তে আমি অনেক কিছু শিখেছি।"
চাকদহ থেকে কলকাতা, সেখান থেকে ভারতীয় দলে খেলা - এই সফরটা কেমন ছিল? এই নিয়ে ঝুলন বলেছেন, "চাকদহ থেকে আসায়, আমি জানতাম না মহিলা ক্রিকেটের বিষয়ে এবং কিভাবে এই খেলাটিকে পেশাদারভাবে নেওয়া যায়। তবে আমি আমার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ আমায় প্রতিনিয়ত সমর্থন করার জন্য। যখন আমি শুরু করেছিলাম, পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা ছিল। আমি খুব ভাগ্যবান যে বিসিসিআই মহিলা ক্রিকেটের উন্নয়ন ও গ্রাসরুট পর্যায়ে অনেক সাহায্য করেছে।"
"চাকদহ থেকে কলকাতায় প্রতিদিন আসাটা সহজ ছিল না। আড়াই ঘন্টার সফর ছিল প্রতিদিন। কিন্তু আমার সেরা স্মৃতি ছিল যখন আমি আমার অভিষেকে অধিনায়িকার কাছ থেকে টুপি পাই এবং প্রথম ওভার বল করি। সেটাই আমার জীবনের সেরা মুহুর্ত।"
এদিকে বর্তমান ভারতীয় পেস আক্রমণকে বিশ্বের সেরা হিসেবে তুলে ধরেছেন ঝুলন। তিনি বলেছেন, "আমাদের প্রতিটা ফর্ম্যাটেই সেরা বোলিং লাইন আপ রয়েছে। তবে হ্যাঁ, আমরা আরও উন্নতি করছি। প্রতিটা ফর্ম্যাটেই সিম বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রেনুকা ঠাকুর, পুজা বস্ত্রকার, মেঘনা সিংয়ের মত দুরন্ত মানের বোলার রয়েছে আমাদের। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত তাদের দেখভাল করা হচ্ছে।"
তবে বিশ্বকাপ না জেতাটা এখনও আক্ষেপ হিসেবে ধরে রেখেছেন ঝুলন। এই নিয়ে ঝুলনের বক্তব্য, "আক্ষেপ বলতে গেলে, দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছি, যদি একটাতেও জিততে পারতাম, তাহলে তা আমাদের জন্য খুব ভালো হত। কারণ সেটিই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। এই একটিই আক্ষেপ আমার রয়েছে।"
শেষে, কেন ঘরের মাঠ ইডেন ছেড়ে লর্ডসে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন ঝুলন? এই নিয়ে ঝুলন বলেছেন, "আমার শেষ ম্যাচ লর্ডসে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, ঘরের মাটিতে কোনও ওয়ানডে সিরিজ নেই আমাদের। আর টি২০ বিশ্বকাপের আগে এটিই আমাদের শেষ ওয়ানডে সিরিজ। বিশ্বকাপের জন্য দল ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এবং এইভাবেই সূচি নির্ধারিত ছিল। আমার মনে হয় আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই আমার অভিষেক হয়েছিল, আর আমার শেষটাও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। লর্ডস যে কোনও ক্রিকেটারের জন্য স্পেশ্যাল এবং আমি খুশি এমনটা হওয়াতে। আমার কোনও আক্ষেপ নেই এই বিষয়ে।"