কোন বড় প্রস্তাব দিল অনিল কুম্বলের কমিটি? জানতে পড়ুন...

এক্সট্রাটাইম নিউজ ডেস্ক : থুতু দিয়ে বল পালিশ পদ্ধতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিল আইসিসি'র ক্রিকেট কমিটি। কিন্তু পালিশের ক্ষেত্রে ঘামের ব্যবহারে এখনও কোনও নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দু’জন করে স্থানীয় আম্পায়ার রাখার প্রস্তাব দিয়েছে অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন এই ক্রিকেট কমিটি। এমনকি প্রতি ইনিংসে দু’টির বদলে তিনটি করে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নিয়ম চালু করার পরামর্শও দেওয়া হয় টেলি-বৈঠকের মাধ্যমে।
এই বিষয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক কুম্বলে বলেন, "আমরা সবাই এই মুহূর্তে খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে লড়াই করে চলছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রিকেট চালু করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও সচেতনতার ব্যাপারটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আইসিসি'র মেডিক্যাল অ্যাডভাইসরি কমিটির প্রধান ডা. পিটার হারবার্টের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, থুতুর ব্যবহারে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি। তাই আইসিসি কমিটির প্রস্তাব, বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতুর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। কিন্তু ঘামের ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কারণ, ঘাম থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।" এটাই দেখার, আইসিসি এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।
বল পালিশের ক্ষেত্রে থুতু ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে ক্রিকেটমহল দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল। মহম্মদ সামি থেকে শুরু করে একাধিক জোরে বোলার শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আইসিসি'ও ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত ছিল। যদিও মাইকেল হোল্ডিং, ওয়াকার ইউনিসের মত প্রবাদপ্রতিম পেসাররা তা সমর্থন করেননি। বল পালিশ না করলে, পেসাররা সুইং পাবেন না। কমে যাবে ব্যাটসম্যান ও বোলারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এমন দাবি করেছিলেন হোল্ডিং ও ওয়াকার। কুম্বলের কমিটি পালিশের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারির করার প্রস্তাব দিলেও, ঘামের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
এদিকে স্থানীয় আম্পায়ারদের পরিচালনায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সংক্রমণের আতঙ্ক তীব্র হওয়ার জন্য যাত্রাপথে ব্যাপক সমস্যা দেখা গিয়েছে। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সব দেশের সীমান্ত বন্ধ। এমনকি অনেক দেশের আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবাও ঠিকমত শুরু হয়নি। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে ১৪ দিনের হোম কোয়ারইন্টিন। তাই এমন পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে প্রত্যেক আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্থানীয় আম্পায়ার বাড়ানো উচিত।"
অনিল কুম্বলের কমিটির এই প্রস্তাব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা মান্যতা দেয় কিনা এখন সেটাই দেখার।