মাইকেল হাসির মতে সর্বকালের সেরা ফিনিশার কে? জানতে পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচের পর টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাই তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ গৌতম গম্ভীর মনে করেন, ''ক্যাপ্টেন কুল'এর জাতীয় দলে ফেরা সম্ভব নয়। যদিও ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন সতীর্থ মাইকেল হাসির দাবি, ধোনির মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি আছে। তাই এমএসডি'কে 'সেরা ফিনিশার' বললেন 'মিস্টার ক্রিকেট'।
গম্ভীরের সেই মন্তব্যের পরে কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ধোনির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মন্তব্য করলেন মাইক হাসি। বলে দিলেন, "ধোনি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফিনিশার। বিপক্ষ অধিনায়ককে ও দ্রুত চাপে ফেলে দিতে পারে।" এরপরেই অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান যোগ করেন, "ধোনি হল অবিশ্বাস্য শক্তি ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর একজন ক্রিকেটার। এই গুণের জন্যই ও সর্বকালের সেরা ফিনিশার। ধোনির মানসিক দৃঢ়তা অসাধারণ। কখন সীমানার বাইরে বল পাঠাতে হবে সেটা ও জানে। সময় এলে ধোনি সেটা করবেই। একেই বলে আত্মবিশ্বাস। যা আমার মধ্যেও নেই।"
সিএসকে'তে খেলার সময় একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন হাসি। তবে বড় রান তাড়া করতে গিয়ে ধোনির কাছ থেকে বেশ কিছু মূল্যবান পরামর্শ পেয়েছেন, সেটাও জানিয়েছেন 'মিস্টার ক্রিকেট'। তাঁর মতে, "রান তাড়া করতে গিয়ে আমি চেষ্টা করতাম প্রতি ওভারে লক্ষ্য যেন ১২-১৩ রানে গিয়ে না ঠেকে। এটা আমি ধোনির কাছ থেকেই শিখেছি। ও এক অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। যে বিশ্বাস করে, মানসিক চাপ যাকে সব চেয়ে কম গ্রাস করবে, সেই ম্যাচটা জিতবে। যে কারণে মাথা ঠান্ডা রেখে ও ক্রিজে থাকে। এতে বোলারের উপরে চাপটা আরও বাড়ে।" তিনি আরও বলেন, "প্রথম সারির দু’তিন জন আউট হয়ে যাওয়ার পরে বোলাররা যখন দেখে ধোনি ক্রিজে টিকে রয়েছে, তাতে ওদেরই চাপ বাড়ে। বিপক্ষের তরফ থেকে তখনই নো, ওয়াইড বা লুজ বল আসা শুরু হয়। ফলে রান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আসে। আর এটাই ধোনির রণনীতি। তা হল, যত বেশি সময় তুমি মাথা ঠান্ডা রেখে লড়বে, তত বেশি সময় তুমি প্রতিপক্ষের মাথায় চড়ে থাকতে পারবে।"
ম্যাচ হেরে গেলে অধিনায়ক ধোনির মানসিক অবস্থা কেমন হয়, সেটাও বলেছেন হাসি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, "ধোনি খুব দ্রুত হারের ধাক্কা ভুলে যেতে পারে। ম্যাচ হারলে যেকোনও অধিনায়ক হতাশ হয়। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে ধোনি কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর থেকেই পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দেয়। যা আরও একটা গুণ। এমন গুণ অনেক অধিনায়কের মধ্যে দেখতে পাইনি।"