বাবা জুতো বিক্রেতা, জমি বিক্রি করে রাইফেল দিয়েছে পরিবার! খেলো ইন্ডিয়ায় পদকের ভান্ডার ছেলের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ভারতীয় ক্রীড়ায় এমন অসংখ্য সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কাহিনী রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত আমাদের উদ্যমী করে তোলে, আরও সাহসী করে তোলে। এমনই এক কাহিনী হল গজাননের। ২২ বছরের শুটার গজানন সহদেব খান্ডাগালে চলতি খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে সমস্ত পদক জিতেছেন। ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ, পুরুষ দলের হয়ে রুপো এবং মিক্সড দলের হয়ে সোনা জিতেছেন তিনি।
কিন্তু এই অসাধারণ সাফল্যের পিছনে রয়েছে তার বাবা-মায়ের চরম আত্মত্যাগ। মহারাষ্ট্রের বিড়ের তালওয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা গজানন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিভাবে তার বাবা-মায়ের জন্য আজকের এই সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
গজানন বলেছেন, "আমার বাবা-মা মুহুর্তের মধ্যেই রাজি হয়ে গিয়েছিল জমি বিক্রি করে শুটিংয়ে আমার ভালোবাসার জন্য আর্থিক যোগান দিতে। আমি ৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনে অংশ নিতাম, কিন্তু ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে পরিবর্তন করেছি কারণ পেলেটগুলি অনেক সস্তা। কারণ শুটার হওয়া সহজ নয়, বিশেষ করে আমার মত মানুষ যাদের বেশি অর্থ নেই।"
এরপর গজানন বলেছেন, "আমার বাবা সহদেব গ্রামে জুতোর দোকান চালান এবং আমার মা সুমিত্রা অন্যের জমিতে কাজ করেন। এই সকল দিনগুলির জন্য আমি এই পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে রয়েছি এবং আমার গলায় এই পদকগুলি ঝুলছে, এবং আমি মনে করি এতে ওনাদের আত্মত্যাগ মূল্য পেয়েছে।"
গ্রামের আশেপাশে কোও শুটিং রেঞ্জ না থাকলেও গজানন এই খেলার প্রতি ভালোবাসতে শুরু করেন পাবজি মোবাইল গেমের মাধ্যমে। এরপর তারপর ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের তরফ থেকে শুটিং শিবিরের ঘোষণা শুনে তিনি এই খেলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই নিয়ে গজানন বলেছেন, "আমি উৎসাহিত ছিলাম এই শুটিং শিবিরের কথা শুনে। কারণ পাবজির জন্য আমার শুটিং ভালো লাগত। আমি ভেবেছিলাম, শুধু স্ক্রিনে কেন খেলব। কেব আমি আসল বন্দুক ধরে গুলি চালাব না। আমি পুরষ্কার জিততেই পারি।"