রোনাল্ডোকে বেঞ্চে পাঠানো পর্তুগালের নতুন হ্যাটট্রিক হিরো গঞ্জালো র্যামোস কে? জানুন

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো! ফুটবল বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে হাজারো অনন্য রেকর্ড। সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা, ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দেশের হয়ে দুটি ট্রফি। টানা ৫ টি ফুটবল বিশ্বকাপে করেছেন গোল। ফুটবল মাঠে তাঁর আগমনে বিশ্ব চিনেছে পর্তুগাল দেশকে।
সবুজ-মেরুণ জার্সি পরে রোনাল্ডো নামার আগে পর্তুগাল ১৭ টি ফিফা বিশ্বকাপের মধ্যে মাত্র তিনটি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ৫ বারের ব্যালন ডি ওর জয়ী রোনাল্ডো আসার পর পর্তুগাল প্রতিটি বিশ্বকাপেই অংশ গ্রহণ করেছে।
তবে গতকাল ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের রাউন্ড অফ ১৬ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর্তুগাল কোচ স্যান্টোস রোনাল্ডো নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজন অপরিসীম সাহস। তবে কথায় আছে ভাগ্য সর্বদা সাহসীদের সঙ্গ দেয়। গতকাল ফার্নান্দো স্যান্টোসের সিআরসেভেনকে বসিয়ে ২১ বছর বয়সী র্যামোসকে নামানোর সাহসী সিদ্ধান্ত পর্তুগালের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে এসেছিল।
শাকা-শাকিরির সুইজল্যারল্যান্ড ইউরোপের জায়ান্ট কিলার নামে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে দলের সেরা খেলোয়াড়কে বসানোর জন্য বিতর্কের মুখে পরেন সান্টোস। তবে ৬-১ গোলে জয় বিশেষত রোনাল্ডোকে যে যুবক বেঞ্চে পাঠালো সেই গঞ্জালো র্যামোস করেছেন হ্যাটট্রিক। তাহলে কি পর্তুগাল দলেও রোনাল্ডো জমানা শেষ? এর উত্তর এইমুহূর্তে না পাওয়া গেলেও পর্তুগালে নতুন সুর্যোদয় ঘটে গেলো তা বলাই যায়।
তবে গতকাল রাত থেকে যাকে নিয়ে এতো চর্চা সেই গঞ্জালো র্যামোসকে চেনেন এমন মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন। ২০১৩ সালে বেনফিকার ইউথ সিস্টেমে মাত্র ১২ বছর বয়সে যোগদান করেন র্যামোস। পেশাদার ফুটবলে তাঁর আত্মপ্রকাশ বেনফিকার রিজার্ভ দলের হয়ে ২০১৯ সালে। এরপর ২০২০ সালের জুলাই মাসে বেনফিকার প্রথম দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বেনফিকার হয়ে ৪৫ ম্যাচে করেছেন ২০ গোল।
দেশের হয়ে অনুর্ধ্ব ১৭ দলে প্রথম সুযোগ পান গঞ্জালো। এরপর পর্তুগালের সকল বয়স ভিত্তিক দলে তিনি খেলেছেন। ২০১৯ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ ইউরো কাপে পর্তুগালের ফাইনালে খেলার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। ৫ ম্যাচে ৪ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেছিলেন হ্যাটট্রিক।
সম্প্রতি নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে পর্তুগালের প্রধান দলে তিনি প্রথম খেলার সুযোগ পান। এবং প্রথম ম্যাচেই নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেন র্যামোস। একটি গোলের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেন। চলতি বিশ্বকাপে ঘানা এবং উরুগুয়ে ম্যাচে দুই মিনিট এবং আট মিনিট খেলার সুযোগ পান। তবে প্রথম একাদশে অনুপ্রবেশ সুইজারল্যান্ড ম্যাচেই। আর তাতেই বিশ্বফুটবলের যাবতীয় লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন তাঁর দিকে। কোয়ার্টার ফাইনালেও কি তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে বেঞ্চবাসী করবেন? প্রশ্ন উঠছে ফুটবল মহলে।