সুইজারল্যান্ডের অসাধারণ কামব্যাকে বিদায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা, খলনায়ক এমবাপ্পে

ফ্রান্স - ৩ (করিম বেঞ্জেমা - ২, পল পোগবা)
সুইজারল্যান্ড - ৩ (হ্যারিস সেফেরোভিচ - ২, মারিও গাভরানোভিচ)
পেনাল্টিতে ৫-৪ ব্যবধানে জয়ী সুইজারল্যান্ড।
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আবারও একটি দুর্দান্ত ম্যাচ, আর আবারও একটি এক্সট্রা টাইমে যাওয়া ম্যাচের স্বাক্ষী থাকল ফুটবল বিশ্ব। বিশ্বজয়ী ফ্রান্সের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াইটা লড়ল আন্ডারডগ সুইজারল্যান্ড। শেষ অবধি পেনাল্টি শুট আউটে অসাধারণ জয় হাসিল করল সুইসরা।
শুরুর দিকে ফ্রান্স আক্রমণাত্মক শুরু করলেও এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ১৫ মিনিটে স্টিভেন জুবেরের ক্রসে গোল করেন স্ট্রাইকার হ্যারিস সেফেরোভিচ। এরপর ৫৫ মিনিটে পেনাল্ট পায় সুইজারল্যান্ড, কিন্তু রিকার্ডো রডরিগেজের স্পট কিক সেভ করেন হুগো লরিস।
আর তারপরেই ফ্রান্স ফিরে আসে ম্যাচে। ৫৭ মিনিটে এমবাপ্পের পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান করিম বেঞ্জেমা। আর তার ঠিক দুই মিনিট বাদে আতোয়াঁ গ্রিজমানের শট বাঁচান সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমার, যা রিবাউন্ড হয়ে যায় করিম বেঞ্জেমার উদ্দেশ্যে, যিনি গোল করতে কোনও ভুল করেননি। আর ৭৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে।জোরালো শটে গোল করেন পল পোগবা।
তবে ক্রোয়েশিয়ার মতই দুই গোলে পিছিয়ে থেকে অসাধারণ কামব্যাক করে সুইজারল্যান্ড। ৮১ মিনিটে কেভিন এমবাবুর ক্রসে হেডে গোল করেন হ্যারিস সেফেরোভিচ, আর ৯০ মিনিটের মাথায় গ্রানিট জাকার পাসে গোল করে আসেন মারিও গাভরানোভিচ। অতিরিক্ত সময়ে ফ্রান্সের কিংসলে কোমানের একটি বাঁক খাওয়ানো শট বারে লাগে। আর এরপর খেলা এক্সট্রা টাইমে যায়।
এক্সট্রা টাইমে দুই দলই আক্রমণ করে। তবে ক্লান্ত শরীরে ও দুই গোলকিপারের বদান্যতায় খেলা গড়াল পেনাল্টি শুট আউটে। এবারর ইউরোতে এই প্রথমবার খেলা পেনাল্টিতে গড়াল।
শেষ অবধি পেনাল্টি শুট আউটে চুড়ান্ত পেনাল্টি মিস করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, তার পেনাল্টি দারুণভাবে সেভ দেন ইয়ান সোমার। আর এর জেরে ইউরো ২০২০ থেকে ছিটকে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আর সুইজারল্যান্ড কার্যত টুর্নামেন্টের সব থেকে বড় অঘটন ঘটাল।