মরে গেলেও কোনও দুঃখ নেই! শেষবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে এসে আবেগঘন সুভাষ ভৌমিক

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ময়দানের দুই প্রধানে দাপিয়ে খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক, তবুও ইস্টবেঙ্গলকে যেন কিছুটা নিজের কাছে রাখেন। রাখবেনই তো, ফুটবলার হিসেবে তো বটেই, কোচ হিসেবেও এই লাল-হলুদেই অধিক সাফল্য পেয়েছেন। আর তাই শেষ জীবনে বারবার ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে এসে ঘুরে গিয়েছেন ভোম্বলদা।
কিন্তু শেষবার যখন লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতে এসেছিলেন, তখন চোখের জলে আবেগপ্লুত হয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। কিন্তু কেন? বরাবরই দ্রোণাচার্য না পাওয়ার অভিমান ছিল সুভাষ ভৌমিকের মধ্যে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নয়া আর্কাইভে নিজের আবক্ষ মূর্তি দেখে নিজের আবেগ সামলাতে পারেননি সুভাষ ভৌমিক।
আর সেই আবেগের কথা এক্সট্রা টাইম বাংলার সাথে শেয়ার করেন সুভাষ ভৌমিক। মূর্তিটি দেখে তার প্রতিক্রিয়া ছিল, "আমার জীবনে কোনও আক্ষেপ নেই, সব আক্ষেপ এই আর্কাইভে এসে ধুয়ে-মুছে গিয়েছে। আমি দ্রোণাচার্য পাইনি, আমার পাওয়া উচিত ছিল। কারণ আমি দেশের একমাত্র কোচ, যে ক্লাবের হয়ে আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছি। দুঃখ একটা ছিল, কিন্তু আর্কাইভে নিজের মুখের স্ট্যাচু দেখে নিজেকে সামলাতে পারিনি। সুভাষ ভৌমিকের মূর্তির পিছনে ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা পঞ্চপান্ডবের ছবি। এটা দেখে আমি বলি, ঈশ্বর, আমার আর কিছু পাওয়ার নেই।"
এরপর আবেগঘন গলায় সুভাষ ভৌমিক বলেছেন, "আমি ফুটবলের জন্য যদি এতটুকু করে থাকি, তার ফেরত হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমাকে একশো গুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার একটা দুঃখ ছিল, ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে সব খেলোয়াড়ের ছবি ছিল, আমার কোনও ছবি ছিল না। আমি এই নিয়ে কথাও শুনিয়েছি। দেবব্রত সরকার আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, কি গো, দুঃখ ঘুচে গিয়েছে? মরে গেলেও আমার কোনও দুঃখ নেই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সুভাষ ভৌমিকের মূর্তি হবে, এটা সুভাষ ভৌমিকের বাপ-ঠাকুর্দাও ভাবতে পারেনি।"