স্পেনের ঘরে ফেরার গান বনাম ইতালীয় মধুর সঙ্গীত? দুই হেভিওয়েটের টক্করে জমজমাট ইউরো

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ইউরোর সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইউরোপিয়ান ফুটবলের দুই সুপার হেভিওয়েট। একদিকে জয়যাত্রায় চালিয়ে যাওয়া ইতালি, অন্যদিকে তারুণ্যে ভরপুর প্রত্যয়ী স্পেন। দুই আক্রমণাত্মক দলের এই লড়াইয়ে আসল বিজয়ী হবে ফুটবল, সে নিয়ে আশা করাই যায়।
চলতি ইউরোয় অসাধারণ পারফর্ম করে চলেছে ইতালি। প্রতিটি ম্যাচেই বেশ দাপট দেখিয়েছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী বেলজিয়ামকে পরাস্ত করে বুঝিয়ে দিয়েছে, এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন হতে তারা মরিয়া। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে ধীরে ধীরে নিজেদের ফর্ম ফিরে পাচ্ছে স্পেন। স্লোভাকিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তার বড় প্রমাণ। যদিও সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেও পেনাল্টিতে জয় পেয়েছে স্পেন।
সেমি ফাইনালে ইতালির ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে উইংব্যাক লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলার চোট। আর এর জেরে ছয় মাস মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এমেরসনকে দলে আনতে পারেন কোচ রবার্তো মানচিনি। যদিও স্পিনাজ্জোলার আক্রমণকে মিস করবে ইতালি, যেহেতু এমারসন কিছুটা নীচ থেকে খেলতে পছন্দ করে। এদিকে চোট সারিয়ে ফিরেছেন অভিজ্ঞ উইংব্যাক আলেজান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি, কিন্তু দুরন্ত ফর্মে থাকা জিওভানি ডি লরেঞ্জোকে সরিয়ে জায়গা পাওয়া বেশ কঠিন।
তবে আক্রমণের দিক থেকে দারুণ ফর্মে রয়েছে ইতালি। প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন মাত্তেও পেসিনো, ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি ও ফেডেরিকো চিয়েসা। এদিকে চোট সারিয়ে ফিরছেন মার্কো ভেরাত্তি।
এদিকে স্পেনের দিক থেকে বড় চিন্তা হল পাবলো সারাবিয়ার চোট। সুইজারল্যান্ড ম্যাচে চোট পাওয়ায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এর ফলে ড্যানি ওলমোকে মাঠে নামাতে পারেন লুই এনরিকে।
এছাড়া ডিফেন্সেও রয়েছে চিন্তা। আয়মেরিক লাপোর্তে অনিশ্চিত এই ম্যাচের জন্য। এই পরিস্থিতিতে জোসে গায়া কিংবা এরিক গার্সিয়া পেতে পারেন সুযোগ।
মুখোমুখি সাক্ষাতের কথা বললে, শেষ ১৪ ম্যাচে ইতালি কেবল দুইবার জিতেছে স্পেনের বিরুদ্ধে। ২০১৬ এর ইউরোতে স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ইতালি। এদিকে ২০১২ ইউরোতে এই ইতালিকে ৪-০ গোলে পরাস্ত করে খেতাব জিতেছিল স্পেন।
এই ম্যাচে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে গোলের সুযোগ কে বেশি নিতে পারবে? যারা নিজেদের সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে, তারাই জয়ী হবে। কারণ দুই দলই অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এবং প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে চাপ দিতে দুই দলের ফরোয়ার্ডরাই ওস্তাদ। কিন্তু ইতালির ডিফেন্স স্পেনের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত। চিয়েলিনি-বোনুচ্চির যুগলবন্দীতে অসাধারণ ইতালি। আর এর জেরে বাজিমাত করে দিতে পারে মানচিনির ছেলেরা।