ক্রোয়েশিয়ার কামব্যাকের লড়াইকে থামিয়ে দিল সিমোন-মোরাতার শাপমোচন

ক্রোয়েশিয়া - ৩ (পেদ্রি - নিজ গোল, মিস্লাভ ওরসিচ, মারিও পাসালিচ)
স্পেন - ৫ (পাবলো সারাবিয়া, সেজার অ্যাজপিলিকুয়েতা, ফেরান টোরেস, আলভারো মোরাতা, ওয়ারজাবাল)
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : অসাধারণ, অনবদ্য, অভূতপূর্ব। এমন ম্যাচই দেখতেই তো ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষায় বসে থাকেন। সেই পরিচিত স্পেন, টাচ ও পাসের ভান্ডার তৈরি করে প্রতিপক্ষের লড়াইকে স্তব্ধ করিয়ে দেওয়ার দারুণ স্ট্র্যাটেজি। দুই গোলে এগিয়ে থাকা স্পেনের বিরুদ্ধে দারুণ কামব্যাক করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু শেষ অবধি জয় হাসিল করল স্পেনই
শুরু থেকেই দাপুটে শুরু করেছিল স্পেন, একের পর এক আক্রমণে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্সে চাপ তৈরি করেছিলেন মোরাতারা। কিন্তু ২০ মিনিটে অঘটন ঘটে যায় স্পেনের জন্য। পেদ্রির ব্যাকপাস রিসিভ করতে গিয়ে মিস করেন গোলকিপার উনাই সিমোন, যার জেরে জালে ঢুকে যায় বলটি। এরপর স্পেন নিজেদের আক্রমণ জারি রেখেছিল।
আর তারপর পরপর তিন গোল মারে স্প্যানিশ আর্মাডারা। ৩৮ মিনিটে লিভাকোভিচের ক্লিয়ারেন্সে বল পান পাবলো সারাবিয়া, আর সেখান থেকে গোল করে দেন। ৫৭ মিনিটে ফেরান টোরেসের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন সেজার অ্যাজপিলিকুয়েতা। আর ৭৬ মিনিটে ডিফেন্ডারকে টপকে দারুণ গোল করেন ফেরান টোরেস।
কিন্তু পরিবর্ত হিসেবে নামা ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড মিস্লাভ ওরসিচ যাবতীয় খেলা ঘুরিয়ে দেন। ৮৫ মিনিটে গোল করে আশা জাগান তিনি, আর অতিরিক্ত সময়ে ওরসিচের ক্রসে দুরন্ত হেডারে সমতা ফেরান মারিও পাসালিচ।
কিন্তু এক্সট্রা টাইমে ক্রোয়েশিয়ার কামব্যাকের লড়াইকে শেষ করে দেন আলভারো মোরাতা। ১০০ মিনিটে ড্যানি ওলমোর ক্রস রিসিভ করে দারুণ ফার্স্ট টাচে জোরালো শটে গোল করেন তিনি। আর ১০৩ মিনিটে ওলমোর ক্রসে গোল করেন ওয়ারজাবাল।
এক্সট্রা টাইমের দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া চেষ্টা চালালেও শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে স্পেন গোল করার কাছে চলে এলেও ড্যানি ওলমোর শট বারে লাগে।
এবং নিঃসন্দেহে, এই ম্যাচে নিজেদের শাপমোচন করে ফেললেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমোন এবং ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতা। ম্যাচে এমন বাজে গোল খেয়েও ক্রোয়েশিয়ার একাধিক নিশ্চিত গোল বাঁচান সিমোন। এদিকে টুর্নামেন্টে গোল মিস করার জেরে হুমকি পাওয়া আলভারো মোরাতাই।অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দেশকে পরের রাউন্ডে উতরে দিলেন