কোন অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়ে মুখ পোড়ালো দক্ষিণ কোরিয়ার এফসি সিওল? জানতে পড়ুন...

এক্সট্রাটাইম নিউজ ডেস্ক : করোনা নামক অতিামারির জন্য রোজই নতুন নতুন ঘটনার সাক্ষী করছে বিশ্ববাসী। ঠিক যেমনটা ঘটল দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে একটি ফুটবল ম্যাচে। দর্শকশূন্য মাঠে গ্যালারি ভরতে ব্যবহার করা হল সেক্স ডল! যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। এবং এমন কাজের জন্য শেষ পর্যন্ত সর্বসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইল সেই দেশের বিখ্যাত ফুটবল ক্লাব এফসি সিওল।
করোনাকে উপেক্ষা করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফিরেছে খেলা। জার্মানিতে মাঠে গড়িয়েছে বল। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই 'ক্লোজ ডোর' ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে। মাঠে দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। কিন্তু সমর্থকহীন মাঠে খেলতে যাতে ফুটবলারদের একাকীত্ব বোধ না হয়, তার জন্য কৃত্রিম উপায়ে ভরা হবে গ্যালারি ভরানোর ব্যাপারে মনস্থির করেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এবং সিওল বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম সাক্ষী রইল একেবারে অন্য দৃশ্যে। এফসি সিওল বনাম গুয়ানজু এসির ম্যাচে গ্যালারিজুড়ে বিরাজমান যৌন পুতুল! প্রতিটি পুতুলের গায়ে বিভিন্ন ধরনের জার্সি ও টি-শার্ট। ফুটবলারদের উৎসাহ দেওয়ার ভঙ্গিতেই যৌন পুতুলগুলো বসানো হয়েছিল। আর এমন দৃশ্য সামনে আসতেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। ঘরের দল জিতলেও খেলার মাঠে ক্লাবের তরফে এমন ‘অশালীন আয়োজন’ দেখে হতবাক ফুটবলপ্রেমীরা। বিতর্কের ঝড় উঠতেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমে ক্ষমা চায় এফসি সিওল।
করোনার জেরে অন্যান্য দেশের মত দক্ষিণ কোরিয়াতেও অনেকদিন বন্ধ ছিল ফুটবল। গত ৮ মে থেকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে শুরু হয় 'কে-লিগ'। বিভিন্ন ক্লাবই তাই গ্যালারি ভরাতে মাস্ক পরা দর্শকদের ছবি, কাটআউট রেখে আসন ভরানোর চেষ্টা করছে। যদিও এফসি সিওল কর্তৃপক্ষের দাবি, ফুটবলারদের উৎসাহ দিতেই তারা এমন ম্যানিকুইনের ব্যবহার করেছিল। সেগুলি নাকি সেক্স ডল নয়। এমনকী তারা এও জানায়, যে কোম্পানির থেকে ম্যানিকুইনগুলি আনা হয়েছিল, তারা সেক্স ডল তৈরি করে না। কিন্তু সেই কোম্পানি আবার বলে, গ্যালারিতে সজ্জিত সমস্ত পুতুল তাদের কোম্পানির নয়। আর এতেই অভিযোগ জোরালো হয়। তাছাড়া গোটা স্টেডিয়ামে কেন শুধুই মহিলা পুতুল, সেটা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। আর তাই ক্লাব কর্তারা ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক এখনও থামেনি।