এমবাপ্পে-মেসির যুগলবন্দীতে লিপজিগের কঠিন বাধা পেরোলো পিএসজি

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন - ৩ (কিলিয়ান এমবাপ্পে - লিওনেল মেসি - ২ (পেনাল্টি))
রাসেনবলস্পোর্ট লিপজিগ - ২ ( আন্দ্রে সিলভা, নর্দি মুকিয়েলে)
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বড় ম্যাচে সর্বদাই বড় খেলোয়াড়রা জ্বলে ওঠেন। আর এক্ষেত্রে আবারও চমক দেখালেন দুই সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনেল মেসি। নেইমারের অনুপস্থিতিতে এই যুগলবন্দীর জোরে পিএসজি দুরন্ত কামব্যাক করল লিপজিগের বিরুদ্ধে।
শুরু থেকেই লিপজিগের হাই প্রেসিং ফুটবলে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল পিএসজি। মাত্র আট মিনিটেই কেইলর নাভাসকে তিনবার কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তবে সেই চাপ কাটিয়ে নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। জুলিয়ান ড্র্যাক্সলার বল বাড়ান এমবাপ্পের উদ্দেশ্যে, যিনি লিপজিগের গোলকিপার পিটার গুলাচিকে পরাস্ত করেন।
তবে ২৮ মিনিটে অ্যাঞ্জেলিনোর ক্রসে গোল করে লিপজিগকে সমতায় ফেরান আন্দ্রে সিলভা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ফের অ্যাঞ্জেলিনোর ক্রস বিপদে ফেলে পিএসজিকে, এবার সেটিতে গোল করেন নর্দি মুকিয়েলে।
কিন্তু এরপর শুরু হয় লিও মেসির ম্যাজিক। ৬৭ মিনিটে টাইলার অ্যাডামসের ভুল ব্যাক পাসের সুযোগ নিয়ে এমবাপ্পে বক্সের মধ্যে বল বাড়ান মেসিকে, যিনি ট্যাপ ইন করে পিএসজিকে সমতায় ফেরান। এরপর ৭৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে এমবাপ্পেকে ফেলে দেন মহামেদ সিমাকান, আর পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি মেসি।
তবে আরও এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। অতিরিক্ত সময়ে ভিএআরে আবারও পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু সেই পেনাল্টি গগনে মেরে দেন এমবাপ্পে। যদিও এই পেনাল্টি মিসে এমবাপ্পের অসাধারণ খেলাকে অস্বীকার করা যাবে না। গোল করেছেন, দুটি গোলের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকাও রেখেছেন। সব মিলিয়ে ধীরে ধীরে মেসি-এমবাপ্পে জুটি বেশ মানিয়ে নিচ্ছে।