মাত্র দুটি পয়েন্টেই আটকে রয়েছে ফাইনাল এগ্রিমেন্টের জট

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে ৪২ জন প্রাক্তন ফুটবলার ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সাথে বৈঠকে বসেন। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ও শ্রী সিমেন্টের মধ্যেকার কাজিয়া মেটাতে।
এবং এই কারণে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ১১জন প্রাক্তন ফুটবলারকে নিয়ে একটি কোর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাঁদের নাম ক্লাবের প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাক্তনদের এটাই প্রথম এগারো। রয়েছেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাস্কর গাঙ্গুলি,প্রশান্ত ব্যানার্জি, মিহির বসু, মেহেতাব হুসেন, রহিম নবি, অলোক মুখার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, বিকাশ পাঁজি, অতনু ভট্টাচার্য এবং সুমিত মুখার্জি।
এই পরিস্থিতিতে এখন প্রশ্ন, এখনও কোন কোন জায়গায় আটকে রয়েছে এই চুক্তিজট? ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ১৫ টির বেশি জায়গায় অবজেকশন করেছিল। এখন মধ্যস্থতার পর দুটি জায়গায় আটকে চুক্তি।
এই পরিস্থিতিতে এক্সট্রা টাইম বাংলার সাথে সরাসরি কথা হয় এই কোর কমিটির এক সদস্য তথা প্রাক্তন ফুটবলারের সাথে। তিনি জানিয়েছেন, কেবল মাত্র দুটি বিষয় নিয়েই মনোমালিন্য রয়েছে ক্লাব ও ইনভেস্টরের।
প্রথমত হল, ক্লাব তাদের যাবতীয় সমস্ত কিছু দিয়ে দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু ক্লাব হস্তান্তরের ক্ষেত্রে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার কোনও অধিকার নেই ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। কারণ এই তাঁবু সেনাবাহিনীর অধীনে। তাছাড়া সোসাইটি অ্যাক্টকে অস্বীকার ক্লাব করতে পারেনা। আর এই তাঁবুর সঙ্গে ১০২ বছরের ইতিহাস জড়িয়ে। এই জায়গাটি ভেবে দেখতে বলা হচ্ছে শ্রী সিমেন্টকে। এছাড়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্য প্রপার্টি নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন না ক্লাব কর্তারা।
আর দ্বিতীয়টি হল, চুক্তি ভাঙার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতিই থাকতে হবে। পারফর্মেন্সের ভিত্তিতেই যেন চুক্তিভঙ্গের ক্ষেত্রে দুই পক্ষের অধিকার থাকে। কারণ এটা একটি ফুটবল ক্লাব, কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়।
ফলে এই দুইটি সমস্যা নিয়েই আটকে রয়েছে লাল-হলুদের জট। দুটি আপত্তি সংশোধন করে নিলে চুক্তিতে সই করবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।