আম্ফানের তান্ডবে বিধ্বস্ত সাব জুনিয়র বেঙ্গল খেলা নূর হোসেনের পরিবার...

গোপাল রায়: আম্ফান চলে গেছে। দিন সাতেক হল। কিন্তু এখনও আতঙ্ক যায়নি অনূর্ধ্ব-১৪ সাব জুনিয়র বেঙ্গল ও স্কুল বেঙ্গল খেলা নূর হোসেনের। বাবা, মা, বোন, দিদিদের নিয়ে কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছে নূর। রাতের পর রাত ঘুম নেই তাদের। গঙ্গাধরপুরের কেইউসিটি ফুটবল একাডেমি থেকে কোচ হীরালাল দাস, কোচ দেবায়ন রায়রা প্রতিনিয়ত নূর ও তার পরিবারের খোঁজ রেখে চলেছে।
আম্ফান ঝড়ে তাদের মাটির বাড়ির দেওয়াল খসে পড়েছে। বেড়া বেরিয়ে গেছে। এখন সারানোর কোনও উপায় নেই, বেড়ার চারিদিকে প্লাস্টিক ঘিরে রাত কাটানো ছাড়া। বাবা শেখ লতিফ আলি বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। করোনা ভাইরাসের জন্য ঘরবন্দি। অন্য সময় হলে নয়, মাটির বাড়ি পুনরায় নির্মাণ করতে পারতেন। তিনি বাগনান থেকে হাওড়া ট্রেনে ট্রেনে হকারি করেন। এখন সেই উপায়ও নেই। ফলে অতি কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে নূরদের।
সোমবার ঈদ গেছে। এই বিশেষ দিনে আনন্দ করা তো দূরের কথা, কী করে দুবেলা পেট ভরবে সেই চিন্তাই সারাক্ষন কুরে কুরে খাচ্ছে নূরদের। বাগনান স্টেশনের কাছে দিদি-জামাইবাবু থাকে। ওরা কিছু এনে দেয়। তা দিয়েই চলছে সাব জুনিয়র ও স্কুল বেঙ্গল খেলা নূরের পরিবারের। বাবা তো আর এখন আর হকারি করতে পারছেন না। যতক্ষণ না ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই এই ভাবেই চলতে হবে তাদের।
সর্বগ্রাসী আম্ফান চলে গেছে। কোরোনা ভাইরাস কবে নির্মূল হবে - জানে না কেউ। নূর চাইছে একটু স্বাভাবিক হোক সব কিছু। না হলে যে বেঁচে থাকা দায় হয়ে যাবে তাদের। রাজ্য সচল হলে, দুর্দিন কাটিয়ে সচল হবে তার পরিবারও।