এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : চলতি সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে চরম ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে বাংলা দল। আর এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কোচ ও খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়ে এবং এক্ষেত্রে বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএর কোনও কোটা সিস্টেম আছে কিনা।

এবার ক্রীড়ামন্ত্রীর এই সমালোচনার জবাব দিল আইএফএ। বুধবার আইএস সচিব অনির্বাণ দত্ত একটি চিঠির মাধ্যমে অরূপ বিশ্বাসকে জানিয়ে দিয়েছেন কোনওরকম কোটা সিস্টেম কিংবা কোনও নেপোটিজমে কোচ বা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়নি।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে সন্তোষ ট্রফির কোচ হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে আইএফএ কোচেস কমিটির। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্র, জামশেদ নাসিরি, তপনজ্যোতি মিত্র, অলোক মুখার্জি, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার, অশোক চন্দ এবং কুন্তল ঘোষ।

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ছাড়া আরও যে দুজন কোচ সন্তোষ ট্রফির দায়িত্ব পাওয়ার দৌড়েছিলেন তারা হলেন রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং রঞ্জন চৌধুরী, এমনটাই চিঠিতে জানিয়েছে আইএফএ। রঞ্জন ভট্টাচার্য কে প্রস্তাব দেওয়া হলেও এ লাইসেন্স পাশ করার জন্য তিনি সেই অফার নেননি, এমনটাই জানিয়েছে আইএফএ। এদিকে গত জাতীয় গেমসে বাংলাকে সোনা এনে দেওয়া কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য দৌড়ে এগিয়েছিলেন আর সেই কারণে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে সন্তোষ ট্রফির জন্য কোচ হিসেবে নিযুক্ত করেছে আইএফএর কোচেস কমিটি।

পাশাপাশিI নিজেদের চিঠিতে আইএফএ জানিয়েছে, এই কোচেস কমিটি সদ্য খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমসে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা দলের হেড কোচ হিসেবে নিযুক্ত করেছিল রাজদীপ নন্দীকে। যার ফলাফল, বাংলা সেই টুর্নামেন্টে রানার্স আপ হয়েছিল ফাইনালে হেরেছিল মনিপুরের কাছে।

এদিকে খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়ে আইএফএ নিজেদের চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতিটি ক্লাবকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল খেলোয়াড় ছাড়ার জন্য। এবং কোচের তত্ত্বাবধানে ট্রায়ালের মাধ্যমে খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়েছে। আইএফএ যাবতীয় পরিষেবাগত এবং পরিকাঠামোগত সহায়তা করলেও খেলোয়াড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা গ্রহণ করেনি। এমনকি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক শিবিরের আয়জনের কথা নিজেদের চিঠিতে জানিয়েছে আইএফএ।

সব মিলিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর যাবতীয় সমালোচনার উত্তর নিজেদের চিঠিতে জানিয়ে দিলেন আইএস সচিব অনির্বাণ দত্ত।