ক্লাবের পাল্টা চিঠিতে ক্ষুব্ধ হরি মোহন বাঙুর, সম্পর্ক ভাঙার ইঙ্গিত শ্রী সিমেন্টের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : সোমবার শ্রী সিমেন্টকে আলোচনা ও ফাইনাল এগ্রিমেন্ট সংক্রান্ত পাল্টা চিঠি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এবং সেই চিঠির মাধ্যমে আলোচনায় বসতে চান কর্তারা, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
তবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে পাওয়া চিঠিতে খুশি নন শ্রী সিমেন্টের কর্নধার হরি মোহন বাঙুর। এক্সট্রা টাইম বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে হরি মোহন বাঙুর জানিয়েছেন, চিঠিতে কোনও নতুনত্ব নেই, সেই পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে চলেছেন ক্লাব কর্তারা।
ক্লাবের পাঠানো চিঠি নিয়ে হরি মোহন বাঙুর বলেছেন, "চিঠিতে তো কিছুই নেই। ওনাদের বলুন চিঠিটা আপনাদের দিতে, এতে লুকোনোর কিছুই নেই। সেই এক জিনিস ওরা লিখেছে, সেই পুরোনো জিনিস তারা পুনরাবৃত্তি করছে। ওনারা এগ্রিমেন্টে সই করবেন এমন কথা লেখাই নেই, এর থেকে বোঝা যায় ওদের এগ্রিমেন্ট সই করার ইচ্ছাই নেই।"
এদিকে দেবব্রত সরকার এক্সট্রা টাইম বাংলাকে জানিয়েছিলেন যে গত বছরের ১৭ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে তারা নিজেদের যাবতীয় দাবি ও টার্মশিটে পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। তবে লাল-হলুদ শীর্ষকর্তার এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিলেন হরি মোহন বাঙুর।
লাল-হলুদ কর্তাদের দাবি নিয়ে বাঙুর বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সামনে দুই পক্ষ মিলে যে চুক্তিপত্রে সই করেছিলাম, আমরা সেগুলিকেই প্রয়োগ করতে চাই। শর্তের বেশিও প্রয়োগ করব না, কমও করব না। যদিও ওনারা এগ্রিমেন্টে কোনও নিয়ম পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আমাদের সাথে কথা বলুন।"
এদিকে দেবব্রত সরকার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, কেবল তিন শীর্ষকর্তা নয়, সদস্যদের দাবি মেনেই এগ্রিমেন্টে সই করা হবে। এই নিয়ে বাঙুর সরাসরি তোপ দেগে বলেছেন, "সদস্যরা কি বলল না বলল সে নিয়ে তো আমি মাথা ঘামাবো না। আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আমি সকল সদস্যের কাছে গিয়ে তাদের সমর্থন চাইব না। এটি ক্লাবের তিন শীর্ষকর্তা ও সদস্যদের একসাথে বসে ঠিক করতে হবে যে তারা কি করবেন।"
এদিকে হরি মোহন বাঙুর জানিয়েছেন, ক্লাব প্রদত্ত চিঠিতে লেখা রয়েছে যে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ডঃ প্রণব দাশগুপ্ত এই এগ্রিমেন্ট সইয়ে কোনও ভূমিকা রাখবেন না। আর এই ভূমিকা নিয়ে একেবারে অসন্তুষ্ট ইনভেস্টর কর্নধার।
কার্যত অসন্তোষের সুরে হরি মোহন বাঙুর বলেছেন, "ক্লাবের দেওয়া চিঠিতে লেখা রয়েছে, ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ডঃ প্রণব দাশগুপ্তর কোনও এক্তিয়ার নেই আপনার সাথে কথা বলার জন্য। একটি ক্লাব কিভাবে চলবে যদি তাদের প্রেসিডেন্টের কোনও এক্তিয়ার না থাকে।"
সব মিলিয়ে, বেশ জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছে এই ফাইনাল এগ্রিমেন্ট সই। আর পরিস্থিতিকে ক্রমশ জটিল করে তুলেছে ক্লাব ও ইনভেস্টর দুই পক্ষ। মাঝখানে হতাশা ক্রমশই বাড়ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের।