মোহনবাগান মডেলে গেলে আখেরে ক্ষতি হবে, বুঝে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন হরি মোহন বাঙুর

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চিঠির পাল্টা জবাব দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। আর সেই চিঠিতে আবারও লাল হলুদ কর্তাদের ফাইনাল টার্মশিট সই করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে ইনভেস্টর।
এক্সট্রা টাইম বাংলার সাথে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে শ্রী সিমেন্টের কর্নধার হরি মোহন বাঙুর জানিয়েছেন, ৩১ মে অবধি তারা অপেক্ষা করতে চাইছেন। এই নিয়ে তিনি ফোনবার্তায় বলেছেন, "আমি চাইছি যাতে ওনারা সই করুন, টার্মশিটে যত তাড়াতাড়ি পারেন সই করুন।"
এদিকে গত কয়েকটি সাক্ষাৎকারে এটিকে-মোহনবাগানের সংযুক্তিকরণকে উদাহরণ হিসেবে টেনে এনেছিলেন শ্রী সিমেন্টের কর্নধার হরি মোহন বাঙুর। কিন্তু হঠাতই এদিন নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বাঙুর সাহেব।
এটিকে ও মোহনবাগানের চুক্তির বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। এই নিয়ে বাঙুর সাহেব বলেছেন, "না না না! আমি এটিকে ও মোহনবাগানের সম্বন্ধে কোনও কথাই বলতে চাই না। এটিকে ও মোহনবাগান সম্বন্ধে আমার কোনও মাথাব্যাথা নেই, সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। আমি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চালাব, সেটি নিয়ে আমার ভাবনা।"
সব মিলিয়ে, হরি মোহন বাঙুরও বুঝে গিয়েছেন এটিকে ও মোহনবাগানের চুক্তির থেকে তাদের পরিস্থিতি কতটা আলাদা। এবং কেবল ফুটবলগত অধিকার নিয়ে আদতে হরি মোহন বাঙুরের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পরিচালনার স্বপ্নে বড়সড় ধাক্কা এসেছে, তা তিনি বুঝতেই পেরেছেন।
কিন্তু এখানে একটি বিষয় পাঠকদের বুঝতে হবে, এটিকে ও মোহনবাগানের চুক্তি এবং ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্টের মধ্যে প্রস্তাবিত চুক্তির পার্থক্য একটিই, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা কেবল মোহনবাগানের ফুটবলগত বিভাগে লগ্নি করছেন, যেখানে হরি মোহন বাঙুর চাইছেন পুরো ক্লাবের কর্তৃত্ব। সুতরাং সেই পার্থক্যটি বুঝতে পেরে নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বাঙুর সাহেব।