ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কি চমক দেখাতে পারবে ইউক্রেন, নাকি জয়ের দৌড় জারি রাখবেন কেন-স্টার্লিংরা?

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : জার্মানিকে ঘরের মাঠে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই সব সময় উত্তেজক ও কঠিন হবেই, আর যদি সামনে থাকে ইউক্রেনের মত প্রত্যয়ী একটি দল - তাহলে অতিরিক্ত সতর্ক হয়েই নামবে গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। অন্যদিকে, স্বপ্নের দৌড় জারি রেখে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর যোদ্ধারা আবারও ইন্দ্রপতনের প্রস্তুতি সারছে।
ইউক্রেনের মত তথাকথিত দূর্বল দল পেয়েও হয়ত কিছুটা স্বস্তিতে থাকবে ইংল্যান্ড, কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসী হবে না তারা। দলগঠনে যেমন সুখবর এসেছে ইংরেজ শিবিরে, তেমনই চিন্তার ভাঁজও রয়েছে। করোনা ভাইরাসের আইসোলেশন সেরে দলে ফিরছেন মেসন মাউন্ট ও বেন চিলওয়েল। তবে কার্ড সমস্যার মুখে রয়েছেন দুই মিডফিল্ডার ক্যালভিন ফিলিপস ও ডেকলান রাইস। ফলে এই ম্যাচে তাদের নামানোটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তবে গত ম্যাচে বুকায়ো সাকা ও পরিবর্ত হিসেবে নামা জ্যাক গ্রিলিশ যে দারুণ খেল দেখালেন জার্মানির বিরুদ্ধে, তাতে হয়ত এই দুজন শুরু করতে পারেন। সম্ভাবনা জোরালো জ্যাডন স্যাঞ্চোর শুরু করা নিয়ে, যিনি সদ্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সই করেছেন।
এদিকে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে জোর ধাক্কা হিসেবে এসেছে আরতেম বেসেদিনের চোট, যা তিনি সুইডেন ম্যাচে পেয়েছিলেন। এবং এর জেরে গোটা টুর্নামেন্ট থেকেই বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। একই ভাবে নেই ডেনিস পোপোভ। যদিও ওলেকজান্দার জুবকোভ ফিরবেন এই ম্যাচে।
কিন্তু ইউক্রেনের মূল চালিকা শক্তি হবে তাদের পাসিং ও গতি। ওলেকজান্দার জিনচেঙ্কোর নেতৃত্বে এবং ফরোয়ার্ডে ইয়ারমোলেঙ্কো-ইয়ারেমচুক জুটি মুখিয়ে থাকবে গোল করার জন্য। সর্বোপরি, ডাগআউটে আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর মত ব্যক্তিত্বের আগুনের স্ফূলিঙ্গ হয়ে এসেছে ইউক্রেন।
বড় টুর্নামেন্টে কেবল একবারই এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। ইউরো ২০১২ এর ম্যাচে ইংল্যান্ড ১-০ গোলে হারায় ইউক্রেনকে। এদিকে পূর্ব ইউরোপিয়ান দলগুলির বিরুদ্ধে সাত ম্যাচে কেবল একবারই হেরেছে ইংল্যান্ড।
তবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে বারবার লড়াই পেতে হয়েছে। প্রতিবার তারা পেনাল্টি শুটআউটের সম্মুখীন হন। ১৯৯৬ ইউরোতে পেনাল্টিতে স্পেনকে হারায় ইংল্যান্ড। কিন্তু ২০০৪ ইউরোতে পর্তুগালের কাছে আর তারপর ইতালির কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে হারে ইংল্যান্ড।
ফলে আশা করা হচ্ছে, বেশ উত্তেজক ও রোমাঞ্চকর ম্যাচ হতে চলেছে এটি। যদিও অধিকাংশের বাজি ইংল্যান্ডের উপর, কিন্তু ইউক্রেনও লড়াই দিতে প্রস্তুত।