ক্লাবকর্তা-ইনভেস্টরের কাজিয়ায় সমর্থকদের তরফে সাত দফা দাবি রাখল ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাস

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এই মুহুর্তে ইস্টবেঙ্গলের সংসারে কর্মকর্তা বনাম ইনভেস্টরের কাজিয়া ভারতীয় ফুটবলের ময়দানের অন্যতম হট টপিক। এই সময়ে যখন বাকি ক্লাবগুলি দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েছে, তখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে চলছে জোর টানাপোড়েন। আর এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ-চিন্তা-হতাশায় রয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা প্রশ্ন তুলেই যাচ্ছেন এই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে। এই অবস্থায় এবার সমর্থকদের প্রতিনিধি হয়ে সামনে এল ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাস। লাল-হলুদ তথা ভারতীয় ফুটবলের এই জনপ্রিয় ফ্যান ফোরাম নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মোট সাতটি দাবি ছুঁড়ে দেন কর্মকর্তা ও ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টকে।
খোলা চিঠিতে প্রথমে সচিব কল্যাণ মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে আল্ট্রাস তিনটি দাবি করে, যা হল -
১. আপনারা কি শ্রী সিমেন্টের সাথে ফাইনাল এগ্রিমেন্টে সই করবেন? যদি না, তাহলে কেন? যদি হ্যাঁ, তাহলে সঠিক সময়সূচি দিন। যদি হ্যাঁ, তাহলে এটিও বলুন যে কেন এখনও অবধি এগ্রিমেন্টে সই হয়নি এবং কি বাধা ছিল?
২. দয়া করে সেই টার্মশিটটি প্রকাশ্যে আনুন যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে সই হয়েছিল এবং শ্রী সিমেন্ট প্রদত্ত ফাইনাল এগ্রিমেন্টটি সামনে আনুন, আর সেখানে দুই চুক্তির পার্থক্য দেখিয়ে দিন। এছাড়াও দেখান যে কোন কোন বিষয়ে ক্লাবকর্তা ও সদস্যদের সমস্যা রয়েছে এবং কোন ধারাগুলিকে ঠিক করা যায়।
৩. দয়া করে আমাদের জানান যে ক্লাব অফিশিয়ালরা শ্রী সিমেন্টের সাথে সমঝোতায় আসতে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?
এদিকে শ্রী সিমেন্টকে দেওয়া খোলা চিঠিতে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরি মোহন বাঙুরের উদ্দেশ্যে চারটি দফা রেখেছে আল্ট্রাস, সেগুলি হল -
১. দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন যে কেন এখনও অবধি ফাইনাল এগ্রিমেন্টে সই হয়নি?
২. দয়া করে সেই টার্মশিটটি প্রকাশ্যে আনুন যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে সই হয়েছিল এবং শ্রী সিমেন্ট প্রদত্ত ফাইনাল এগ্রিমেন্টটি সামনে আনুন, এতে সমর্থকদের দুই চুক্তির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সুবিধা হবে।
৩. দয়া করে আমাদের জানান যে আপনার তরফে ক্লাব কর্তাদের সাথে সমঝোতায় আসতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
৪. আমরা বেশ কিছু সংবাদপত্রের প্রতিবেদন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি যে ক্লাবকর্তারা আপনাদের সাথে মুখোমুখি বসতে চায়। আমরা আপনার কাছে অনুরোধ করব এই দাবিটি মেনে নিন।
ফলে কার্যত স্পষ্ট, এবার আর চুপ থাকতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। প্রিয় ক্লাবের এই কঠিন দুঃসময়ে ধৈর্যের বাঁধ ক্রমশ ভাঙছে সত্যিকারের লাল-হলুদের ব্রিগেডের, অর্থাৎ সমর্থকদের।