রেনেডির নেতৃত্বে উজ্জীবিত ইস্টবেঙ্গলের লড়াইয়ে রুখে গেল মুম্বই সিটির জারিজুরি

এসসি ইস্টবেঙ্গল - ০
মুম্বই সিটি এফসি - ০
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ডেভিড বনাম গোয়ালিথের লড়াই হিসেবে এই ম্যাচটিকে ধরেছিল অনেকে। একদিকে জয়হীন এসসি ইস্টবেঙ্গল, অন্যদিকে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ও চলতি আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা মুম্বই সিটি এফসি। তবে রেনেডি সিংয়ের অধীনে এ যেন এক উজ্জীবিত ইস্টবেঙ্গল। আর এই লাল-হলুদ ব্রিগেডের অনবদ্য লড়াইয়ে রুখে গেল ডেস বাকিংহামের সাজানো সেনাবাহিনী।
ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই মুম্বইয়ের প্রভাব বেশি ছিল। বেশি পাস, বল পজেশন বেশি, আক্রমণ বেশিই ছিল মুম্বইয়ের। কিন্তু আদিল খানের নেতৃত্বে এসসি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ একটিও ভুল করেনি এই ম্যাচে। জয়নেয়ার লৌরেঙ্কো চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর অঙ্কিত মুখার্জি নেমেও দারুণ লড়াই দেখিয়েছেন। রাইট ব্যাক পজিশনে অনবদ্য খেলেন অমরজিত সিং কিয়াম। আর গোটা মাঠ জুড়ে দুর্দান্ত ওয়ার্কলোড নেন সৌরভ দাস। হীরা মন্ডল যথারীতি দারুণ, আর আদিল খান যেন প্রকৃত নেতা হিসেবে খেলে গেলেন।
মুম্বইয়ের হয়ে দুর্দান্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন ক্যাসিও গ্যাব্রিয়েল, একাই যেন লড়ছিলেন আইল্যান্ডারদের জন্য। এদিকে বক্সে যেন হাপিত্যেশ করছিলেন ইগর অ্যাঙ্গুলো। বিপিন সিং, আহমেদ জাহু, আপুইয়ারা চেষ্টা চালালেও কোনও ফল আসেনি। শেষের দিকে ব্র্যাড ইনম্যান, ইগর কাতাতাউ ও নতুন সাইনিং ভিনিত রাই আক্রমণের ঝড় তুললেও লাল-হলুদ রক্ষণকে রুখতে পারেনি।
আর এই ম্যাচে যেন ইস্টবেঙ্গল ১২ জনে খেলেছে বলা যায়। মাঠে ১১ জন ফুটবলার লড়ছিলেন, আর সাইডলাইন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিং পুরো ৯০ মিনিট ধরে উৎসাহ দিয়ে গেলেন ছেলেদের। সীমিত ক্ষমতা নিয়েও চ্যাম্পিয়নদের রুখে দেওয়া সম্ভব, দেখিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল।
তবে এই ম্যাচে রেফারিং অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল, তা বলাই যায়। মুম্বই সিটি এফসির একটি ন্যায্য পেনাল্টি দেয়নি, যার ফাউল তার বিপরীতে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সঠিক কর্নার দেননি দুই দলেরই হয়ে - সব মিলিয়ে প্রচন্ড দৃষ্টিকটূ রেফারিংয়ের নিদর্শন মিলল এই ম্যাচেও।