জামসেদপুরকে সমীহ করলেও তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চান ইস্টবেঙ্গল কোচ কনস্টানটাইন

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আগামী রবিবার জামসেদপুরের টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জামসেদপুর এফসির মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। গত ম্যাচে ওড়িশার কাছে ২-৪ ফলে হারের ধাক্কা সামলে এবার জামসেদপুরের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া থাকবে ইস্টবেঙ্গল।
আর এই ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্টিফেন কনস্টানটাইন জানিয়ে দিলেন, জামসেদপুর ম্যাচটি কঠিন হবে তাদের জন্য। স্টিফেন বলেছেন, "আমরা ঘরে-বাইরে সব ম্যাচই খেলেছি কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কালকের ম্যাচের প্রতিপক্ষও কঠিন। আমি হোম বা অ্যাওয়ে ম্যাচ আলাদা করে দেখি না। অনেকে বলেন, আমাদের ঘরের মাঠে ষাট হাজার সমর্থক থাকে। যদিও গত কয়েকটি ম্যাচে ৬০ হাজার মানুষ ছিল না। এতে কোনও সমস্যা বা সুবিধা হয় বলে মনে হয় না আমার।"
এদিকে জামসেদপুর এফসিকে সমীহ করলেও জিততে চাইছেন স্টিফেন। তিনি বলেছেন, "ওরা গতবার লিগশিল্ড জিতেছিল। তাই ওদের আমি শ্রদ্ধা করি। ওদের একজন ভাল কোচ আছে। এডি বুথরয়েড অভিজ্ঞ। অনেক দিন ধরে ফুটবলে আছেন। ভাল ফুটবলারও রয়েছে ওদের। প্রতিপক্ষকে আমরা শ্রদ্ধা করি। আশা করি ওদের হারিয়ে তিন পয়েন্ট নিয়েই কলকাতায় ফিরতে পারব।"
ওড়িশা ম্যাচে চোটের জন্য খেলতে পারেননি জেরি লালরিনজুয়ালা। গত ম্যাচে গুরুতর চোট পান চারালাম্বোস কিরিয়াকুও। তাহলে কি জামসেদপুর ম্যাচে তারা খেলতে পারবেন? এই নিয়ে স্টিফেন বলেছেন, "জেরি মনে হয় ঠিক হয়ে যাবে। কিরিয়াকুর জন্য মনে হচ্ছে অপেক্ষা করতে হবে। ওর চোটটা গুরুতর। চোখের ওপর সেলাই হয়েছে। যার ফলে চোখটা ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হয়েছে এবং জায়গাটা খুব সংবেদনশীল হয়ে রয়েছে। খেলা শুরুর আগে ওর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।"
অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আগমণ নিয়ে স্টিফেন বলেছেন, "আমরা চাই, সব ম্যাচেই আমাদের সমর্থকেরা গ্যালারি ভর্তি করে থাকুক। সব ম্যাচেই ওরা থাকেন, অনেক সমর্থকই থাকেন। এটা কলকাতা থেকে এমন কিছু দূরে নয়। তাই চাইব, কাল আরও অনেকে আমাদের খেলা দেখতে আসুন। আশা করি ওদের এই আত্মত্যাগ, আগ্রহ বিফলে যাবে না। সমর্থকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভাল। আশা করি, এটা থাকবে। ওদের সমর্থন আমাদের দরকার। ওরা থাকলে তো ভালই হবে।"
এদিকে, গত ম্যাচের ধাক্কা ভুলে জামসেদপুর ম্যাচে নামা নিয়ে নাওরেম বলছেন, "খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল তখন। আমরা দুগোলে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু তার পরে চার গোল খাওয়াটা খুব কষ্টকর। এটা আগেও আমাদের হয়েছে। আমরা ৯০ মিনিট পুরো ভাল খেলতে পারিনি। কখনও একটা অর্ধে ভাল খেলেছি আবার পরের অর্ধে খারাপ হয়েছে। আবার উল্টোটাও হয়েছে। এই ম্যাচে আমাদের টানা ৯০ মিনিট ভাল খেলতেই হবে।"