কিশোর কুমারের মত সবার মধ্যে থেকে গেলেন সুভাষদা! গুরুর প্রয়াণে শোকাহত দীপু-চন্দন-ষষ্ঠী

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ময়দান হারাল তার আরও এক অভিভাবককে। তারাদের দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি ফুটবলার-কোচ সুভাষ ভৌমিক। আর তাঁর প্রয়াণে শোকাহত তার শিষ্যরা।
সুভাষের অধীনে থেকে অসংখ্য ফুটবলার ভারতীয় ফুটবলে দাপিয়ে গিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের তিন মূর্তি দীপঙ্কর রায়, চন্দন দাস ও ষষ্ঠী দুলে। এই তিনজনই সুভাষ ভৌমিকের অধীনে দীর্ঘদিন ফুটবল খেলেছেন এবং ভারতীয় ফুটবলে নিজেদের নাম তুলে ধরেছেন। এবং গুরুর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন চন্দন-দীপঙ্কর-ষষ্ঠী।
হাসপাতালে গুরুকে শেষ দেখা দেখতে আসেন দীপঙ্কর রায়। সুভাষ ভৌমিককে নিয়ে দীপঙ্কর রায় বলেছেন, "সুভাষ ভৌমিকের চলে যাওয়াটা ভারতীয় ফুটবলের বড় ক্ষতি, ফুটবলার হিসেবে এবং কোচ হিসেবেও। আমি আমার কেরিয়ারের ৮০ শতাংশ ভৌমিক স্যারের অধীনে খেলেছি। কিভাবে সব খেলোয়াড়কে এক সাথে রাখা যায়, সেটি করে দেখাতেন ভৌমিক স্যার।"
এদিকে সুভাষ ভৌমিকের অধীনে দুর্দান্ত খেলা চন্দন দাস বলেন, "সত্যি এই খবরটা আমাদের কাছে খুব বেদনাদায়ক এবং আমি খুব মর্মাহত। আমার মনে হয়, যদি ভারতীয় ফুটবলে আধুনিকতা কেউ নিয়ে আসে, সেটা সুভাষ ভৌমিক। এখন যে জিনিসটা খুব সহজ, সেটা সেই সময়ে নিয়ে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। অনুশীলনের পর ভাত-মাংস, চিকেন স্টু থেকে বেরিয়ে বয়েল্ড চিকেন, পাস্তার প্রচলন এনেছিলেন সুভাষ ভৌমিক।"
"২০০১-২০০৩ সালে সমস্ত ট্রফি আমরা সুভাষ ভৌমিকের অধীনে জিতি। উনি খুব বড় কোচ ছিলেন না, উনি খুব ভালো ম্যানেজ করতে পারতেন। খেলোয়াড়রা ওনাকে ভালোবাসত, আর উনিও আমাদের সবাইকে ভালোবাসতেন। ওনার চলে যাওয়াটা সত্যিই খুব কষ্টদায়ক।"
এদিকে প্রাক্তন ফুটবলার ষষ্ঠী দুলেও গুরু সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। তিনি বলেছেন, "মানুষের বয়স হলে তো সবাইকে চলে যেতেই হবে। কিন্তু উনি চলে গেলেন, কিশোর কুমারের মত ভারতীয় ফুটবলের সকলের মধ্যে রয়েই গেলেন। ভৌমিকদাকে দিয়ে আমাদের ফুটবল জীবন শুরু হয়েছে। শাসনও করত, কাছেও টেনে নিত। সুভাষদার মত কোচ ভারতীয় ফুটবলে আসবে কিনা সন্দেহ।"