হল না হেক্সা, দুরন্ত ক্রোয়েশিয়ার কাছে পেনাল্টিতে হার মানল ব্রাজিল

ব্রাজিল - ১ (নেইমার)
ক্রোয়েশিয়া - ১ (ব্রুনো পেটকোভিচ)
পেনাল্টিতে ৪-২ ফলে জয়ী ক্রোয়েশিয়া
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এমনটা হওয়ার কথা হয়ত ছিল না, কিন্তু এটাই ফুটবল, এখানে সবই সম্ভব। ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে উঠল ক্রোয়েশিয়া।
ব্রাজিলের যে আক্রমণভাগ ছিল, নেইমার, রিচার্লিসন, রাফিনহা, অ্যান্টনি, রড্রিগো - তাতে এই ম্যাচ জেতা খুব একটা কঠিন ছিল না। কিন্তু অপর প্রান্তে ছিলেন ৩৭ বছরের এক লড়াকু সেনানায়ক, যার নাম লুকা মদ্রিচ। আর ক্রোয়েশিয়ার তিনকাঠির নীচে ছিলেন দুরন্ত ছন্দে থাকা ডমিনিক লিভাকোভিচ।
প্রায় গোটা ম্যাচ জুড়ে ব্রাজিল আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়েছে, কিন্তু লিভাকোভিচের হাত এবং জসকো ভারদিওলের দুরন্ত রক্ষণ বারবার বাঁচায় ক্রোয়েশিয়াকে। অন্যদিকে মদ্রিচ ও ইভান পেরিসিচের নেতৃত্বে ক্রোয়েশিয়া বারবার দুই উইং বরাবর আক্রমণে ওঠে।
তবে ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণের আধিক্য ছিল অনেকটাই বেশি। বেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার, ভিনিসিয়াসরা, কিন্তু গোল করতে পারেননি। আর এর জেরে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
আর অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের ইঞ্জুরি টাইমে গোল করে আশা জাগায় ব্রাজিল। বক্সের বাইরে লুকাস পাকুয়েতার সাথে দুর্দান্ত ওয়ান-টু খেলে ভিরে ঢুকে লিভাকোভিচকে টপকে গোল করেন নেইমার।
তবে সেই আনন্দ বেশি সময় টেকেনি। ১১৭ মিনিটে অনবদ্য কাউন্টার অ্যাটাকে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। বামদিক থেকে মিরোস্লাভ ওরসিচ ক্রস বাড়ান বক্সের বাইরে, যা পেয়ে দুরন্ত শটে অ্যালিসনকে পরাস্ত করেন ব্রুনো পেটকোভিচ।
আর শেষ অবধি খেলা সমতায় থাকায় খেলা গড়ায় পেনাল্টিতে। এবং ক্রোয়েশিয়ার হয়ে চারটি পেনাল্টিতেই দুর্দান্ত ভাবে গোল করেন যথাক্রমে নিকোলা ভ্লাসিচ, লভরেন মায়ের, লুকা নদ্রিচ ও ওরসিচ।
এদিকে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি মারেন রড্রিগো, যা সেভ করেন লিভাকোভিচ। এরপর ক্যাসেমিরো ও পেদ্রো গোল করে আশা জিইয়ে রাখেন ব্রাজিলের। কিন্তু চতুর্থ পেনাল্টি মারতে এসে মারকুইনহোস বারে মারেন। আর এর জেরে জিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।