এসসি ইস্টবেঙ্গলকে মেপে নিয়েছেন প্রীতম শুভাশিস লিস্টনরা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আই এস এল এ আগামী ২৭ শে নভেম্বর কোনো সাধারন একটা ম্যাচ ডে নয় , ওই দিনটা হলো বাংলা ফুটবল তথা ভারতীয় ফুটবল প্রেমীদের আবেগের বিস্ফোরণের দিন। শনিবাসরীয় এই এস এল এর প্রধান আকর্ষন কলকাতা ডার্বি , একদিকে ইস্টবেঙ্গল আরেকদিকে মোহনবাগান। যে ম্যাচের একটাই ট্যাগ লাইন 'হারনা মানা হ্যায়….' সোমবার থেকে শুরু হলো এটিকে মোহনবাগানের ডার্বির প্রস্তুতি . অমরিন্দর সিংহ, লিস্টন কোলাসো, প্রীতম কোটাল, শুভাশীষ বসু কলকাতা ডার্বি নিয়ে নিজেদের মতামত জানালেন এটিকে মোহনবাগান মিডিয়া টিম কে ।
প্রীতম কোটাল - "বঙ্গসন্তান হিসেবে এই ম্যাচ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। বহু ডার্বি ম্যাচ খেলেছি । জানি এই ম্যাচ জিতলে সমর্থকরা কতটা খুশি হন। এ বছর আমাদের খেলার ধরন বদলেছে। পিছন থেকে আমরা আক্রমণ তুলে আনছি। আক্রমণাত্মক ফুটবলই এবার আমাদের প্রধান অস্ত্র। এক গোল খেলে চার গোল দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের দলের আছে।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ দেখলাম, ওদের দু তিন জন ভালো বিদেশী আছে। গত বছর এই এস এল এর দুটো ডার্বিতেই আমরা জিতেছিলাম। এবারও ডার্বির সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এ ব্যাপারে আমরা চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী। জিতবো আমরাই, সেই মনোভাব নিয়েই নামবো। জিততে তো হবেই। "
লিস্টন কোলাসো - "ছোট থেকেই এই ম্যাচের কথা শুনেছি সবার কাছে। গোয়া থেকে যারা কলকাতায় খেলতে এসেছেন তাদের কাছেও শুনেছি ক্লাবের কাছে এর গুরুত্ব। কোচ যদি খেলান তাহলে সবুজ-মেরুন জার্সিতে এই ম্যাচ খেলতে নামবো। আর আমার যে স্বপ্নটা এতোদিন পুষে রেখেছি, যে জন্য কলকাতার দলে খেলা সেটা সফল করার চেষ্টা করবো। ডার্বি জিতবো এবং গোলও করবো। "
শুভাশীস বসু - "আমার মতো যে কোনো বঙ্গসন্তান কেই আবেগ ও উত্তেজনায় ভাসিয়ে দেয় ডার্বি। কিন্তু আমি কখনই আবেগকে খেলার ওপরে চাপতে দি না । ডার্বি হলেও এটা আমার কাছে আর একটি ম্যাচ। অন্য ম্যাচের মতো এই ম্যাচটাও জিততে চাই। এ কদিন শুধুমাত্র ডার্বি নিয়েই ভাবতে চাই। এই ম্যাচটা জিতলে সমর্থকেরা সবথেকে বেশি খুশি হন। "
অমরিন্দর সিংহ - " এশীয় ফুটবলে কলকাতা ডার্বি অন্যতম বড় ম্যাচ। এই ম্যাচটার গুরুত্ব মেরিনার্সদের কাছে কতটা সেটা জানি। তাদের খুশি করাই আমাদের কাজ। ঐতিহ্যের সবুজ-মেরুন জার্সি পরে এই ম্যাচ খেলতে নামবো ভেবে শরীরে উত্তেজনার পারদ বেড়ে গিয়েছে। ফুটবলার হিসেবে আমি এবং পুরো দল চাইবো নিজেদের পুরোটা দিতে। "