মেসির মঞ্চে নায়ক আলভারেজ, ক্রোয়েশিয়াকে দাপটে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনা - ৩ (লিওনেল মেসি - পেনাল্টি, জুলিয়ান আলভারেজ - ২)
ক্রোয়েশিয়া - ০
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : খেলাটা হাড্ডাহাড্ডি হবে, এমনটাই ভেবেছিলেন সকলে। আসলে ফুটবল বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল বলে কথা। কিন্তু এই আর্জেন্টিনা দল একেবারে অন্য ধাতুতে তৈরি। চ্যাম্পিয়ন মানসিকতা নিয়ে কাতারে এসেছেন মেসি-মার্টিনেজরা। আর সেই মানসিকতার সাথে দাপুটে ফুটবলের সাহায্যে ক্রোয়েশিয়াকে দাপটে হারিয়ে ফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকে চিত্রটা যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল। আর্জেন্টিনাকে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়ছিল না ভারদিওল-সোসার ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে মদ্রিচ-পেরিসিচরা বারবার আক্রমণে চাপ বাড়াচ্ছিল।
কিন্তু আর্জেন্টিনা ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে। ৩২ মিনিটে দুরন্ত থ্রু পাসে বল পেয়ে এগিয়ে যান জুলিয়ান আলভারেজ, এবং আগুয়ান ক্রোট গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচের সাথে ধাক্কা লাগে তার। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি সেটিকে আর্জেন্টিনার পক্ষে পেনাল্টি দিয়ে দেন। এবং স্পট কিক থেকে গোল করে চলতি টুর্নামেন্টের পঞ্চম ও বিশ্বকাপে মোট ১০টি গোল করলেন মেসি।
এরপর ৩৯ মিনিটে ফের গোল করে আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়ার সেটপিস থেকে বল পেয়ে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে হাফওয়ে লাইনে মেসি পাস বাড়ান আলভারেজকে, যিনি দুরন্ত গতিতে একক দক্ষতায় বলটি নিয়ে যান। সৌভাগ্যক্রমে দুই ক্রোট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগেও আলভারেজের নিয়ন্ত্রণে থাকে বলটি। আর সেটি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জুলিয়ান আলভারেজ।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনার দাপট অব্যাহত থাকে। ৬৯ মিনিটে অনবদ্য দক্ষতায় মেসি ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারদের টপকে বল বাড়ান বক্স, যা পেয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন আলভারেজ। আর শেষ অবধি এই ফলাফলেই ফাইনালে উঠে গেল আর্জেন্টিনা।
তবে এই ম্যাচের সাথে সাথেই সমাপ্ত হল বিশ্বকাপের মঞ্চে লুকা মদ্রিচের শেষ গান। হয়ত তৃতীয় স্থানাধিকারী ম্যাচ খেলতে হবে ক্রোয়েশিয়াকে, তবে এক এলএম১০ এর ফাইনালে যাওয়ার দিনে আর এক এলএম১০ এর বিদায় নিশ্চিত হল।