মেসির রাজত্বে নায়ক এমি মার্টিনেজ, কলম্বিয়ার তিনটি পেনাল্টি সেভ, কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনা - ১ (লাউটারো মার্টিনেজ)
কলম্বিয়া - ১ (লুই ডিয়াজ)
পেনাল্টিতে ৩-২ ব্যবধানে জয়ী আর্জেন্টিনা
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ওস্তাদের মার শেষ রাতে, আর কার্যত শেষ মুহুর্তেই জয় হাসিল করল আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার সেমি ফাইনালে শক্তিশালী কলম্বিয়ার মুখোমুখি হয়ে অত্যন্ত সাবধানী ছিল মেসিরা। কিন্তু লড়াই এতটা কঠিন হবে, ভাবতে পারেননি কোচ লিওনেল স্কালোনি।
কলম্বিয়ার প্রেসিং ও গাজোয়ারি ফুটবল আর্জেন্টিনার ছন্দকে বারবার নষ্ট করেছে। তবে সাত মিনিটেই গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। দুই ডিফেন্ডারকে বক্সের মধ্যে শিল্ড করে মেসি পাস বাড়ান ফাঁকায় থাকা লাউটারো মার্টিনেজের দিকে, যিনি গোল করতে কোনও ভুল করেননি।
কিন্তু তারপর মুহুর্মুহু আক্রমণ হানে কলম্বিয়া। কুয়াদ্রাদো-জাপাতারা বেশ কিছু শট মারলেও তা ব্লক করে দেয় আর্জেন্টাইন রক্ষণ। এদিকে বেশ কিছু ফাউলের জেরে খেলার গতিতে প্রভাব পড়ে। এদিকে আর্জেন্টিনার হয়ে লিও মেসি ও পরিবর্ত হিসেবে নামা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া আর্জেন্টিনার লিডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস করে।
তবে আক্রমণের ফল পায় কলম্বিয়া। ৬১ মিনিটে এডউইন কার্দোনার পাসে কঠিন অ্যাঙ্গেলে গোল করেন লুই ডিয়াজ। সমতায় ফেরার পর কলম্বিয়া ফের মরিয়া হয় গোল পেতে, কিন্তু এবার আর্জেন্টিনাও আক্রমণে ঝড় তোলে। কিন্তু ৯০ মিনিটে আর গোল পায়নি দুই পক্ষ, যার জেরে খেলা পেনাল্টিতে যায়।
শুরুতে কলম্বিয়ার হয়ে পেনাল্টিতে গোল করেন জুয়ান কুয়াদ্রাদো, যার জবাবে সমতা ফেরান লিওনেল মেসি। কিন্তু এরপর ডাভিনসন স্যাঞ্চেজের পেনাল্টি সেভ করেন এমি মার্টিনেজ, কিন্তু সেই সেভের সুযোগ নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। নিজেদের দ্বিতীয় পেনাল্টি মিস করেন রড্রিগো ডে পল। এরপরের পেনাল্টিতে ইয়েরি মিনার শট সেভ করেন মার্টিনেজ, কিন্তু এবার সুযোগের সদ্ব্যবহার করে গোল করেন লিয়ান্দ্রো পারেদেস। দুটি পেনাল্টি মিসের পর শেষ অবধি কলম্বিয়ার হয়ে গোল করেন মিগুয়েল বোর্জা, কিন্তু এর জবাবে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লাউটারো মার্টিনেজ। আর তারপর এডউইন কারদোনার পেনাল্টী সেভ করেন এমি মার্টিনেজ - আর এর জেরে জয় হাসিল করে নিল আর্জেন্টিনা।
আর এই জয়ের জেরে কোপা আমেরিকা ২০২১ এ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলবে আর্জেন্টিনা, এবং আরও বড় চ্যালেঞ্জ, খেলা হবে ঐতিহ্যশালী মারাকানা স্টেডিয়ামে। ফলে দুর্দান্ত একটি ফাইনালের অপেক্ষায় থাকবে ফুটবল বিশ্ব।