এআইএফএফ ইন্টিগ্রিটি অফিসারের গোপন রিপোর্টে নির্দোষ কুশল দাস

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : রঞ্জিত বাজাজের অভিযোগ, সত্যতা কতটুকু? সত্যতার খোঁজে ফেডারেশনের ইন্ট্রিগ্রিটি অফিসার গোপন রিপোর্ট জমা দিলেন। সেই গোপন রিপোর্টের কপি এক্সট্রা টাইমের হাতে! কী আছে এই রিপোর্টে?
এবার টুইটারে রঞ্জিত বাজাজের তোলা অভিযোগগুলিকে নিয়ে তদন্তের রায় প্রকাশ করলেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ, প্রসঙ্গত জাভেদ সিরাজ একজন প্রাক্তন সিবিআই অফিসার।
রঞ্জিত বাজাজ নিজের টুইটে দুটি ঘটনার কথা তুলে ধরেছিলেন, যেখানে শারীরিক নিগ্রহ হয়েছিল এক মহিলার সাথে। একটি হল ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর এএফসি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের দিন নয়া দিল্লির তাজ হোটেলে। অন্যটি হল ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ ফাইনালের পর বেঙ্গালুরুর চ্যান্সেরি হোটেলের নিকটবর্তী এক রেস্তোরাঁয়। এবং সেই অভিযোগগুলির ভিত্তিতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইন্টিগ্রিটি কমিটি।
কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে এআইএফএফের একটি ইন্টারনাল কমপ্লেইন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং এই কমিটিতে থাকা অফিসাররা, যথাক্রমে শান্তা গোপীনাথ (ম্যানেজার), জ্যোৎস্না গুপ্তা (ইএ), ইন্দু চৌধুরি (সিনিয়র ম্যানেজার) এবং কর্নেল মেহেতা (এজিএস অ্যাডমিন), এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
২০১১ সাল থেকে হেড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে কাজ করছিলেন কর্নেল মেহেতা। এবং জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, রঞ্জিত বাজাজের দাবি অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ২৮ নভেম্বর সংক্রান্ত কোনও অভিযোগই তিনি পাননি।
এছাড়া ২০২০ সালে ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ ফাইনালের ঘটনা নিয়ে টুর্নামেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার ইন্দু চৌধুরি এই টুইটগুলি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ফেডারেশনের জিজ্ঞাসাবাদে। এরপর লিগ বিভাগের সিইও সুনন্দ ধরকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি জানান যে টুর্নামেন্টের পর ডিনারে এআইএফএফ ও কর্নাটক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাথে ছিলেন তিনি এবং এই ধরণের কোনও শারীরিক নিগ্রহ তিনি দেখেননি। এছাড়া তৎকালীন ইন্টারনাল কমপ্লেইন্ট কমিটির প্রধান শান্তা গোপীনাথও জানিয়েছেন, এরকম কোনও অভিযোগ তিনি পাননি।
আর এই জিজ্ঞাসাবাদের জেরে ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজের কাছে স্পষ্ট হয়, এআইএফএফ সচিব কুশল দাসের উপর রঞ্জিত বাজাজের এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।
এছাড়া এই রিপোর্টে জাভেদ সিরাজ উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালে এথিক্স কমিটি তদন্ত চালিয়েছিল রঞ্জিত বাজাজের উপর, যেখানে তিনি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মানহানিকর রিটুইট করছিলেন। এবং সেই কমিটির সামনে সেই সময়ে বাজাজ নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং এই ভুল পুনরায় না করার প্রতিশ্রুতি দেন। অর্থাৎ রঞ্জিত বাজাজের এমন অভিযোগের ইতিহাস এটা নতুন নয়।