বিরাট শতরান কোহলির! হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল আরসিবি

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দুরন্ত শতরান করলেন বিরাট কোহলি। যোগ্য সঙ্গত দিয়ে দায়িত্বশীল অর্ধশতরান অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসির। হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে আরসিবি জিতল ৮ উইকেটে।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি হায়দ্রাবাদের। এই ম্যাচে আবার ওপেনিং জুটি বদলে ফেলে তারা। একই ওভারে পর পর দুই ওপেনারকে তুলে নেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। কভারে অভিষেকের ক্যাচ নেন মহিপাল লোমরোর। রাহুল প্যাডল সুইপ করতে দিয়ে ক্যাচ দেন হর্ষল পটেলের হাতে।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক এডেন মার্করাম এবং ক্লাসেন। মার্করাম তুলনায় ধীরগতিতে খেলছিলেন। আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলার ভূমিকা নিয়েছিলেন ক্লাসেন। ১৯তম ওভারে নিজের শতরান পূরণ করেন ক্লাসেন। হর্ষলের বলে ছয় মেরে ৪৯ বলে শতরান হয় তাঁর। মার্করাম আউট হয়ে যান ১৩তম ওভারে। তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৮ রান। ক্লাসেন বাদে আর কোনও ব্যাটারই ব্যাট হাতে রান পাননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে হায়দ্রাবাদ।
জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে ব্যাটিং করলেন দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিস। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ১৭২ রান। এদিন ডুপ্লেসিসের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল বিরাটকে। গত দু’টি ম্যাচে রান পাননি তিনি। সেই কারণে রানের খিদে ছিল আরও বেশি। পেসার থেকে স্পিনার কাউকে রেয়াত করেননি কোহলি। ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি। ৫০ করার পরে রানের গতি আরও বাড়ে বিরাটের। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে নিজের শতরান পূরণ করেন বিরাট। ফাফ ডু প্লেসিস করেন ৪৭ বলে ৭১ রান। শেষে ৪ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় আরসিবি।