রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি এনটুলির! অবাক ক্রিকেট মহল

Photo-X
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ ঢাকায় চলমান চারদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের খেলায় বুধবার এক উত্তপ্ত মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন দক্ষিণ আফ্রিকার তাসেপো এনটুলি ও বাংলাদেশের রিপন মন্ডলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এখনও পর্যন্ত ম্যাচ অফিসিয়ালরা কোনও ব্যবস্থা নেননি, কারণ নিয়ম অনুযায়ী অফিসিয়াল রিপোর্ট জমা না পড়া পর্যন্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায় না।
ঘটনাটি ঘটে, যখন রিপন মন্ডল এনটুলিকে একটি সোজা ছয় হাঁকান। এরপর রিপন তাঁর ব্যাটিং পার্টনার মেহেদি হাসানের দিকে হাঁটতে হাঁটতে এনটুলির দিকে তাকান। সেই সময় এনটুলি হঠাৎ করে তাঁর দিকে ছুটে আসেন।
দুজনের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি হয় এবং এরপর এনটুলি রিপনের হেলমেট টানতে থাকেন। আম্পায়ার কামরুজ্জামান তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু এনটুলি আবারও হেলমেট ধরে টানেন, পরে আম্পায়ার এসে দুজনকে আলাদা করেন। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়েরা এনটুলিকে থামানোর চেষ্টা না করে উলটে রিপনের দিকে এগিয়ে আসেন। তখন রিপন তাঁর হেলমেট খুলে ফেলেন। পুরো ঘটনার সময় টিভি ধারাভাষ্যকারদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
Things got out of control between Tshepo Ntuli and Ripon Mondol during the SA Emerging vs Bangladesh Emerging match today and the umpires were forced to intervene pic.twitter.com/EhYC6KVj4u
— Werner (@Werries_) May 28, 2025
অন-এয়ার ধারাভাষ্যকার নাবিল কায়সার বলেন, “এটা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়। সাধারণত আমরা ক্রিকেট মাঠে কথার লড়াই দেখি, কিন্তু শারীরিক সংঘর্ষ বিরল। এনটুলি তো এক পর্যায়ে রিপনের হেলমেটে আঘাত করে বসে।”
সংঘর্ষের তিন বল পর, রিপনের একটি ডিফেন্ড করা শট ফেরত দিয়ে এনটুলি জোরে বল ছুঁড়ে মারেন তাঁর দিকে, যা রিপন কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন।
খবর অনুযায়ী, ম্যাচ রেফারি ঘটনাটির রিপোর্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)-এর কাছে জমা দেবেন। যেহেতু এটি সফরের শেষ ম্যাচ, দুই বোর্ডই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও রাজশাহীতে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘটনার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিলে সিমেলানে ও বাংলাদেশের জিশান আলমকে নিষিদ্ধ করা হয়, যার ফলে তাঁরা তৃতীয় ম্যাচে খেলতে পারেননি।
চলমান এই চারদিনের ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের সফরের দ্বিতীয় ও শেষ লাল বলের ম্যাচ। ওয়ানডে সিরিজে তারা ২-১ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল এবং চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত প্রথম চারদিনের ম্যাচটি ড্র হয়।