জালিয়াতির অভিযোগ, টাকা নিয়ে দলে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয় সিএবি লিগে!

Photo- X
এক্সট্রা টাইম বাংলা ওয়েব ডেস্ক: সিএবি-তে ফের বিতর্কের ঝড়। শনিবার সংস্থার প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব নরেশ ওঝার কাছে পৌঁছেছে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগপত্র, যার প্রেরক আইনজীবী সুমন কীর্তনীয়া। অভিযোগের তীর এবার সিএবি-র গ্রাউন্ডস কমিটি ও বেঙ্গল প্রো টি-২০ কমিটির সদস্য, নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার অম্বরীশ মিত্রের দিকে।
সুমনের অভিযোগ, অনূর্ধ্ব ১৩, ১৫ ও ১৮ দলের মতো সিএবি অনুমোদিত টিমে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন অম্বরীশ। পাশাপাশি, একটি ক্রিকেট ক্লাব গঠনের নামেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি জাল নথি তৈরির মাধ্যমেও তিনি অর্থ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে।
অম্বরীশ নিজেকে প্রভাবশালী বলে দাবি করেন এবং বিভিন্ন ক্লাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে উঠতি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর দাবি, টাউন ক্লাবের সচিব দেবনিক দাসের সঙ্গে অম্বরীশের সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তারই সুযোগ নিয়ে ক্লাব নির্বাচনে প্রভাব খাটানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রেলের সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক নিগম-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিক, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স অফিসার, সিএবি-র ওম্বাডসম্যান, এথিক্স অফিসার, অ্যাপেক্স কাউন্সিল এবং বাংলার সমস্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাব ও প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কাছে।
সুমন তাঁর অভিযোগের পক্ষে অম্বরীশের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ও অনলাইনে লেনদেনের নথিও সংযুক্ত করেছেন। তাঁর দাবি, বাংলার ক্রিকেটকে কলঙ্কমুক্ত করতে এই বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
এই অভিযোগ নিয়ে সিএবি-র অন্দরমহলে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অম্বরীশ মিত্র বলেন, “সবটাই ভিত্তিহীন অভিযোগ। সামনে সিএবি নির্বাচন। আমি একটি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ বলে আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “হাইকোর্ট ক্লাবে কোনও অনৈতিক কাজ করিনি। ক্লাবটি তো আমার মালিকানাধীন নয়।”