আগামী পাঁচ বছরে ১৩৮টি দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ খেলবে ভারত, আইপিএলের জন্য বড় সুখবর

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আগামী ২০২৩ সালে মে মাস থেকে ২০২৭ সালের এপ্রিল মাস অবধি টিম ইন্ডিয়ার ফিউচার ট্যুর প্রোগ্র্যামের কথা ঘোষণা করল আইসিসি। আর এই প্রোগ্র্যামে একাধিক বড় বিষয় উঠে এসেছে, যার মধ্যে নিঃসন্দেহে আসছে আইপিএল।
দুটি নতুন দল যুক্ত হওয়ায় এবার আইপিএল আরও বেশি বড়, আরও বেশি দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার কথা। আর সেই কারণে আসন্ন এফটিপিতে আইপিএলের জন্য মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে জুনের শুরু অবধি উইন্ডো খোলা রাখল আইসিসি। অর্থাৎ যে উইন্ডোটি ছিল, তার থেকে ১৫ দিন অতিরিক্ত বড় উইন্ডো পেল বিসিসিআই।
এদিকে ২০২৫ সালে, পাকিস্তান সুপার লিগের দ্বিতীয়ার্ধের সাথেই চলবে আইপিএল। এই পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা করতে হবে বিসিসিআই ও পিসিবিকে।
এদিকে ভারতের জাতীয় দলের সূচির কথা বললে, সেখানে কিছু চমক আসছে। আগামী পাঁচ বছরে ভারত মোট ১৩৮টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে। এর মধ্যে ৩৮টি টেস্ট, ৩৯টি ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ও ৬১টি টি২০ আন্তর্জাতিক খেলবে ভারত। অর্থাৎ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, টি২০ ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি ক্রিকেটের ভবিষ্যতকে সম্পূর্ণ অন্য মোড়ে নিয়ে যাচ্ছে। এদিকে ওয়ানডে আন্তর্জাতিকগুলি বেশিরভাগ তিন ম্যাচের সিরিজ হবে।
সাম্প্রতিক কালে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজের সাফল্যের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল আইসিসি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আসন্ন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি পাঁচ টেস্টের সিরিজ হবে। যদিও পূর্বকালীন চক্রের আওতায় থাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরের টেস্ট সিরিজটি চার ম্যাচের হবে। ২০২৪-২৫ মরশুমের ডিসেম্বরে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে।
এছাড়া ঘরের মাঠে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাবে দুটি টেস্ট ও ওডিআই এবং তিনটি টি২০ আন্তর্জাতিক খেলতে। এছাড়া ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে।
সব শেষে, ২০২৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপ যুগ্মভাবে আয়োজন করবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। এদিকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হবে পাকিস্তানে।