ব্যর্থতা ভুলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়! সাফল্যের আলোতে যা কখনও সামনে আসে না: ঋদ্ধিমান সাহা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: আইপিএল ২০২৩ -এ গুজরাট টাইটান্সের হয়ে ১৭ ম্যাচে করেছেন ৩৭১ রান। গুজরাট দলে রানের তালিকায় শুভমন গিলের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনিই। এমনকি আইপিএল ফাইনালেও ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সবচেয়ে বেশি বয়সের (৩৮ বছর) ক্রিকেটার হিসেবে ফাইনালে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরির মালিক। সেই সঙ্গে কিপিংয়ে নিরাপদ হাত ও দুরন্ত রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস। তারপরেও ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে শিকে ছেঁড়েনি তাঁর।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না চারবারের বিশ্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
আইপিএলের পর লম্বা ছুটিতে এখন কলকাতায় রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। মাঝে স্বপরিবারে ঘুরতেও গিয়েছিলেন। আপাতত শহরেই রয়েছেন। সময় পেলেই কালীঘাট ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্পে এসে 'ভবিষ্যতের ঋদ্ধিমানদের' গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত থাকছেন। শনিবারের এক বৃষ্টির বিকেলে তাঁকে পাওয়া গেল কালীঘাট ক্লাবে। বাংলার আবহাওয়ায় ক্রিকেটার গড়ে উঠলেও ঋদ্ধির মন এখন মজে শুধুই ত্রিপুরায়।
আসলে ক্যারিয়ারের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে নিজের মত করে ক্রিকেটের স্ট্রাইকটা রোটেট করতে চাইছেন পাপালি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ঋদ্ধিমান সাহাকে ভারতীয় দলে ফেরানোর জন্য সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ঋদ্ধির মনে অবশ্য এই নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। অথচ অজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারারা সুযোগ পাচ্ছেন। বয়স অবশ্য এক্ষেত্রে নির্বাচকদের ভাবনায় রসদ জুগিয়েছে বলেই মত ঋদ্ধিমান সাহার।
ব্যর্থতা ভুলকে চোখে আগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। সাফল্যের আলোতে যা হয়তো কোনও সময়ই সামনে আসে না। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারতীয় দলের ব্যর্থতাকে এভাবেই দেখছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাই কারুর দিকে আঙুল তুলতে রাজি নন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনার সফল বাস্তবায়ন না হওয়াতেই ব্যর্থতা বলে মনে করছেন সাহা।তাঁর কথায় যদি সাফল্য আসত তাহলে সমালোচনার বদলে প্রশংসার বন্যা বয়ে যেত। কারন সাফল্য অনেক ভুলকেই ঢেকে দেয়। একইভাবে অজিঙ্কা রাহানের ভারতীয় দলের প্রত্যাবর্তন নিয়ে মোটেই ব্যথিত নন ঋদ্ধিমান সাহা। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বছর ৩৮ এর ঋদ্ধি রঞ্জি ট্রফি এবং আইপিএল খেললেও জাতীয় স্তরের অন্য কোনও টুর্নামেন্ট না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই দলীপ ট্রফিতে খেলার প্রস্তাব পেলেও নির্বাচকদের জানিয়েছেন তাঁর কথা যেন না ভাবা হয়। এই বিষয়ে ঋদ্ধির মতামত তিনি দলে থাকলে অভিষেক পোড়েলের মত নতুন প্রতিভারা সুযোগ পাবেন না। আর সেই জন্যই নতুন মরসুমে ত্রিপুরার ক্রিকেটের উন্নতিতে আরও মন দিতে চান।
আসলে এত ঝড়-ঝাঁপটা, না পাওয়া, ব্যর্থতার পরও ঋদ্ধি আছেন নিজের দৃষ্টি ভঙ্গিতেই। যা সঠিক তা চোখে আঙুল দিয়ে বলতে ভয় পাননা ঋদ্ধিমান সাহা। তাই হয়তো আজও অনেক কিছু সহ্য করতে হয় ঋদ্ধিমান সাহাকে।