অরিন্দম কোনও গোলকিপারই নয়, ইস্টবেঙ্গলের হারে বিরক্ত সুভাষ ভৌমিক

অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা : এটিকে মোহনবাগানের কাছে আইএসএলের ডার্বিতে হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলল এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ২৩ মিনিটে তিন গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে কার্যত চুপ করিয়ে ছাড়ল হাবাসের সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। আর এই হারে স্বভাবতই হতাশ প্রাক্তন খেলোয়াড়রা।
এই পরিস্থিতিতে কি বলছেন ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাসের অন্যতম সফল খেলোয়াড় ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। কিংবদন্তি এই ফুটবলার ইস্টবেঙ্গলের রণনীতি ও খেলায় বিরক্তি প্রকাশ করলেন।
এক্সট্রা টাইম বাংলার সাথে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সুভাষ ভৌমিক সবুজ-মেরুণ কোচ আন্তোনিও হাবাসের প্রশংসা করে বলেছেন, "ইস্টবেঙ্গল আত্মসমর্পণ করেনি, হাবাস তাদের আত্মসমর্পণ করিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখে হাবাস বুঝেছে দলে কি ঠিক ভুল রয়েছে। আর সেই মত প্রথম ১০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের নেতিবাচক ফুটবলের সুযোগ নিয়ে আক্রমণে উঠেছে মোহনবাগান। ম্যাচের মধ্যে যেভাবে হুগো ও জনি কাউকো নিজেদের মধ্যে স্থান পরিবর্তন করছিলেন, তাতেই ম্যাচ বেরিয়ে যায়।"
এদিকে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজের দলগঠনের সমালোচনা করেছেন সুভাষ ভৌমিক। তিনি বললেন, "জামসেদপুর এফসি ম্যাচে চার ডিফেন্স, আর এই ম্যাচে তিন ডিফেন্স - এর কোনও মানে হয়। ডিফেন্সে একজন ব্লকার দরকার, শারীরিক সক্ষমতা যুক্ত খেলোয়াড় দরকার। আদিল খানকে সই করিয়েছে, অথচ তাকে খেলায়নি। সাইড ব্যাকে রফিকের থেকে সামাদ আলি মল্লিক ভালো খেলত বলে আমার বিশ্বাস।"
কলকাতা ডার্বিতে অরিন্দমের পরিবর্তন হিসেবে নামা শুভম সেনের প্রশংসা করে সুভাষ ভৌমিক বলেছেন, "শুভম না থাকলে আরও হতাশা বাড়ত। ওর মাথাতেই ছিল না, ও সুযোগ পাবে। একেবারে চাপমুক্ত হয়ে নেমেছে মাঠে। শুভম আমার অধীনে খেলেছে, দারুণ প্রতিভাবান। ওকে নিয়ে আজ এত হইচই হচ্ছে, ও আগামী দিনেও আরও ভালো খেলবে।"
৭৫ এর ৫-০ রেকর্ড হারানোর ভয় কি এসেছিল? এর জবাবে সেই ম্যাচ খেলা সুভাষ ভৌমিক বলেছেন, "কোনও রেকর্ডই স্থায়ী থাকে না। তবে ভয় হয়েছিল, পাঁচ কেন, ছয়-সাত গোল খেতে পারত। হুগো বৌমোস হেডে যে মিস করল, আমি এই বয়সে তা গোল করে দিতে পারতাম।"
শেষে অরিন্দমের খেলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুভাষ ভৌমিক বলেছেন, "অরিন্দম কোনও গোলকিপারই নয়। চার্চিলে দায়িত্বে থাকাকালীন ওকে আমি বসিয়ে রেখেছিলাম। এই নিয়ে চার্চিল আলেমাওয়ের সাথে ঝামেলা লেগেছিল আমার। মনে আছে, আইলিগ ম্যাচে অরিন্দম বেশ বাজে খেলছে। ওর চোখ বলের দিকে থাকে না। পরের ম্যাচেই বসিয়ে দিলাম। গতবার মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়নি, তার কারণ হল অরিন্দম ও তিরি। মাঠের থেকে মাঠের বাইরের দিকে বেশি নজর।"