কলকাতা ডার্বির চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানালেন 'উচ্চাকাঙ্খী' লাল-হলুদের হেডস্যার মানোলো ডিয়াজ

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যানুয়েল মানোলো ডিয়াজের কাছে এক নয়া চ্যালেঞ্জ। একেবারে নতুন ধাঁচে ও নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে তৈরি এসসি ইস্টবেঙ্গল দলকে একই সুতোয় বাঁধতে হবে, আর গত বছরের হতাশাজনক পারফর্মেন্সের থেকে অনেক ভালো খেলার আশাও রাখছেন সমর্থকরা।
তবে মানোলো ডিয়াজের কাছে প্রধান চিন্তা হল, কলকাতা ডার্বি। জামসেদপুর এফসির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলার পরেই সামনে এটিকে মোহনবাগান, আর এত দ্রুত এমন বড় মাপের ম্যাচ পড়ায় কিছুটা চিন্তিত লাল-হলুদের হেডস্যার। তবে এই চ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানিয়েছেন মানোলো। একাধিকবার রিয়াল মাদ্রিদ বনাম অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ডার্বি দেখেছেন মানোলো, এবার আরও এক হেভিওয়েট ডার্বির পালা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মানোলো বলেছেন, "ইস্টবেঙ্গলের সকলেই, খেলোয়াড়, টেকনিকাল স্টাফ, সদস্য - সকলেই সারাক্ষণ ডার্বি নিয়ে কথা বলে। আমরা এই ডার্বির গুরুত্ব জানি, এর ইতিহাস জানি, আমরা জানি সমর্থকদের কাছে এর গুরুত্ব কি, এবং আমাদের নিশ্চিতভাবে ঐ তিন পয়েন্ট লাগবে।"
"ইন্ডিয়ান সুপার লিগে আমাদের দ্বিতীয় ম্যাচই ডার্বি। খুব তাড়াতাড়ি এসেছে কারণ আমরা প্রস্তুতি ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের স্তর আরও উন্নত করছি। কিন্তু আমরা কোনও অজুহাত দেব না। আমরা ডার্বির জন্য তৈরি। এছাড়াও, আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের ক্ষমতা জানি, কোচের ক্ষমতা জানি যার ভারতে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। দলে ওরা একসাথে অনেক বছর ধরে রয়েছে। এছাড়া, ওরা দুই-আড়াই মাস আগে থেকে মরশুম শুরু করেছে। কিন্তু আমরা কোনও অজুহাত দেখছি না। আমরা আমাদের শতভাগ দেব।"
৩৪ খেলোয়াড়কে নিয়ে শুরু করলেও চলতি মরশুমের জন্য একাধিক খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ২৭ খেলোয়াড়ে নিয়ে এসেছেন কোচ মানোলো ডিয়াজ। এবং এই সিদ্ধান্তটিকে 'পেশাদারি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এই নিয়ে মানোলো বলেছেন, "আমাদের দলের সাইজ অনেক বড়। এখন সেই সাইজ চুড়ান্ত হয়ে তিন গোলকিপার সহ ২৭ এ নেমেছে। এটিই প্রকৃত সংখ্যা কোনও পেশাদারি দলের জন্য। খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়া একটি পেশাদারি ফুটবলগত সিদ্ধান্ত, এবং আমাদের মন হয়েছে যে এই সংখ্যাটিই একেবারে সেরা এবং উন্নতি করার জায়গায় রয়েছে।"
শেষে দলের উন্নতি নিয়ে মানোলো বলেছে, "আমরা খুবই উচ্চাকাঙ্খী এবং ইস্টবেঙ্গলের জন্য সেরাটা চাইছি, কিন্তু জানি যে মরশুমে অনেক দেরি করে কাজ শুরু হয়েছে। আমরা অল্প সময়ের জন্য অনুশীলন করেছি। আমরা জানি এটি কঠিন, কিন্তু আমরা সেরাটা দিতে চাইছি। এই মরশুমে, ইস্টবেঙ্গলকে প্রতিটা ধাপ, প্রতিটা সপ্তাহ, প্রতিটা ম্যাচ ধরে খেলতে হবে, কারণ সেটিই সেরা উপায় আমাদের মান বাড়ানোর জন্য। আমরা জানি গত মরশুম খারাপ ছিল, কিন্তু আমরা আশা করছি এই বছর তা উন্নত হবে।"