ইস্টবেঙ্গলে বিতাড়নের পর মহম্মদ সালাহদের সাথে কাজ - কিভাবে এই উত্তরণ? জানালেন ফ্রান্সিসকো কোস্টা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ফ্রান্সিসকো জোসে ব্রুটো ডা কোস্টা - চেনেন এই নামটিকে? ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কয়েকজন হয়ত চিনতে পারেন। ২০২০ সালে শ্রী সিমেন্ট আসার আগে ব্রুটো ডা কোস্টাকেই সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কিন্তু শ্রী সিমেন্ট আসার পর একপ্রকার নিঃশব্দে কোস্টাকে সরিয়ে রেনেডি সিংকে সহকারী করা হয়।
কিন্তু এই বিতাড়নের পর দমে যাননি গোয়ার এই প্রশিক্ষক। বাংলাদেশের ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন কোস্টা। আর তারপর একেবারে সরাসরি মিশরের জাতীয় দলে পেলেন সুযোগ। আজ্ঞে হ্যাঁ! সুপারস্টার উইঙ্গার মহম্মদ সালাহের জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে তিনি পেয়েছেন বিশেষ দায়িত্ব। কাজ করছেন কিংবদন্তী কোচ কার্লোস কুইরোজের সাথে।
কিন্তু হঠাত করে মিশরের এই কাজ পেলেন কিভাবে ব্রুটো? বাংলাদেশের এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোস্টা এ ক্ষেত্রে মিশরের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নেলো ভিঙ্গাদাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। ২০১৯ সালে কেরালা ব্লাস্টার্সে নেলো ভিঙ্গাদা যখন হেড কোচ ছিলেন, সেখানে সহকারী হিসেবে ছিলেন কোস্টা। এই নিয়ে ফ্রান্সিসকো কোস্টা বলেছেন, "মিশরের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নেলো ভিঙ্গাদা জিজ্ঞাসা করলেন তার অধীনে কাজ করব কিনা? সে সুযোগটাই নিয়েছি।"
মিশর ছাড়াও পর্তুগাল, ইরান ও কলম্বিয়ার জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করেছনে কুইরোজ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অ্যালেক্স ফার্গুসনের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন, রিয়াল মাদ্রিদে হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবার সেই কুইরোজের সাথে কাজ করছেন ফ্রান্সিসকো। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে কোস্টা বলেছেন, "কুইরোজের কাজ খুব সূক্ষ্ম। অনুশীলন, ক্লাস, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সহ সব কিছুরই পুঙ্খনাপুঙ্খ গভীরতা চান। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন।"
শেষে লিভারপুল সুপারস্টার তথা বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় মহম্মদ সালাহের সাথে কাজ করা নিয়ে কোস্টার বক্তব্য, "সালাহ খুবই সাধারণ একজন মানুষ। দলের অন্য সব খেলোয়াড়েরই মত তার সাধারণ আচরণ। সে যে বড় খেলোয়াড়, তার ব্যবহারে কখনও বোঝা যায় না।"
সব মিলিয়ে, হাতের কাছে এত ভালো একজন প্রশিক্ষককে হারিয়ে নিঃসন্দেহে হাত কামড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, বলা বাহুল্য, এসসি ইস্টবেঙ্গল এফসি। বর্তমানে লিগ টেবিলে লাল-হলুদ ব্রিগেডের যা অবস্থা, তাতে এই আক্ষেপ আরও বেশি ঝরে পড়ছে সমর্থকদের মধ্যে।