মেরিনার্স হয়ে গর্বিত ফ্লোরেন্তিন পোগবা, আনেলকা-পিরেসের থেকে চিনেছেন ভারতের ফুটবলকে

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বিদেশী সাইনিংয়ে আবারও বড় চমক দিল এটিকে মোহনবাগান। সুপারস্টার ফুটবলার পল পোগবার দাদা, ফ্লোরেন্তিন পোগবাকে সই করল এটিকে মোহনবাগান। ফ্রান্সের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব এফসি সোশো থেকে ট্রান্সফার ফি দিয়ে সই করিয়েছে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।
এর আগে ফরাসি লিগ ওয়ানে সেন্ট এতিয়েনের হয়ে খেলেছেন পোগবা। খেলেছেন ইউরোপা লিগেও। আর এবার এটিকে মোহনবাগানকে সাফল্য দিতে মরিয়া গিনির এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। এবং নিজের অনুভূতির কথা শেয়ার করলেন এটিকে মোহনবাগান মিডিয়াকে।
এটিকে মোহনবাগানে সই করে আপ্লুত পোগবা বলেছেন, "এটিকে মোহনবাগানের মতো বিশাল সমর্থক সমৃদ্ধ ক্লাবে খেলব এটা ভেবে রোমাঞ্চিত হচ্ছি। এটা আমার কাছে খুব গর্বের। এই ক্লাবের জার্সির ঐতিহ্য আলাদা। সেই জার্সি পরে মাঠে নামার দিনটার অপেক্ষায় আছি।"
কিন্তু এত ক্লাব থাকতে কেন এটিকে মোহনবাগানে সই করলেন? এই নিয়ে পোগবা বলেন, "নতুন একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভারতে খেলতে আসছি। এটা আমার কাছে একটা নতুন দেশ, নতুন চ্যাম্পিয়নশিপ এবং অনেকগুলো ক্লাবকে চেনার সুযোগ করে দেবে। সব থেকে বড় কথা শুধু ভারতের নয়, এশিয়ার একটি ঐতিহ্যমন্ডিত এবং সাফল্যের পরম্পরা সমৃদ্ধ ক্লাবের হয়ে মাঠে নামতে পারছি। এটা আমার কাছে বিশাল ব্যাপার।"
ভারতীয় ফুটবল সম্বন্ধে এর আগে নিকোলাস আনেলকা ও রবার্ট পিরেসের থেকে জেনেছেন ফ্লোরেন্তিন। তবে আরও কিছু জানা বাকি রয়েছে। এই নিয়ে পোগবার মত, "ইন্ডিয়ান সুপার লিগ সম্পর্কে আমার অনেক কিছু জানা এখনও বাকি আছে। তবে আগে এখানে খেলে যাওয়া কিংবদন্তী ফুটবলার আনেলকা এবং রবার্ট পিরেসের কাছে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে এবং লিগ সম্পর্কে নানা কথা শুনেছি। শুনে মনে হয়েছে এখানকার ফুটবল যথেষ্ট জনপ্রিয়।"
নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এটিকে মোহনবাগানকে কিভাবে সমৃদ্ধ করবেন তিনি? এই নিয়ে পোগবা জানিয়েছেন, "আমি ঈশ্বরকে সবসময় ধন্যবাদ দিই এজন্যই যে, তিনি আমার ভালবাসাকে পেশা
হিসাবে দিয়েছেন। ফুটবল আমাকে শিখিয়েছে কীভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় এবং সফল হতে হয়। ফ্রান্স ছাড়াও আমেরিকা, তুরস্ক লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আমার, যা আমাকে শিখিয়েছে সতীর্থদের নিয়ে সফল হতে। আমি চেষ্টা করব নিজের অভিজ্ঞতা ও সেরাটা দিয়ে ট্রফি জিততে।"
শেষে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে পোগবা বলেছেন, "সদস্য, সমর্থকরা হচ্ছে ক্লাবের হৃদপিন্ড। ওদের নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের সামনে খেলতে আমি সবময়ই ভালোবাসি। উপভোগ করি। সেটা এখানেও পাব জেনে ভাল লাগছে। আমি তাই অপেক্ষায় থাকব কবে সবুজ মেরুন সমর্থকদের ঢেউয়ের সামনে খেলতে নামব। আমি মেরিনার্স হয়ে নিজেকে গর্বিত অনুভব করছি। আমি কথা দিচ্ছি নিজের
সেরাটা দিয়ে সবাইকে নিয়ে ট্রফি জিতে সমর্থকদের আনন্দ দেব।"