আবারও জাতিবিদ্বেষ বিশ্ব ফুটবলে, ফের শিকার হলেন ইংল্যান্ডের তারকা ফুটবলাররা!

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ফিফা, উয়েফা সহ একাধিক ফুটবল নিয়ামক সংস্থা যখন বিশ্ব ফুটবল থেকে বর্ণ-জাতি সহ সকল ধরণের বিদ্বেষকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে, তা যেন করোনার মত এঁটে ধরে বসেই আছে। বারবার ফুটবলারের বর্ণ বা জাতি নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন সমর্থক কিংবা প্রতিপক্ষরা - আর এই ঘটনা বারবার চলতে থাকে। একই ঘটনা ঘটল চলতি ফিফা বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে।
বুদাপেস্টে যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল হাঙ্গেরি ও ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে ৪-০ ফলে জেতে ইউরো রানার্সরা। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন ইংল্যান্ডের বেশ কিছু খেলোয়াড়ের উপর জাতিগত বিদ্বেষ মন্তব্য ও গালাগালি করেন দর্শকরা। যেখানে প্রধান টার্গেট ছিলেন তারকা উইঙ্গার রাহিম স্টার্লিং ও তরুণ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম।
একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, যখনই স্টার্লিং বল ধরছেন, দর্শকদের থেকে অনেকে 'বাঁদর' মন্তব্য করেছেন। আবার রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে যখন জুড বেলিংহাম মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাইডলাইনে, সেই সময় হাঙ্গেরিয়ান আল্ট্রাসের কিছু সদস্য তাকে গালাগাল করেন। এছাড়া কিক অফের আগে যখন হাঁটু গেঁড়ে বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বসেছিল ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা, তখন প্রচুর গালাগাল করেন দর্শকরা। এরপর হ্যারি ম্যাগুইয়র যখন তৃতীয় গোলটি করেন ইংল্যান্ডের জন্য, তখন একটি আতশবাজি পড়ে মাঠে।
আর এই ঘটনা সামনে আসতেই ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফিফাকে বার্তা দেয় এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য। এই নিয়ে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেছেন, "আমরা এই বিষয়ে অত খেয়াল করিনি। আমি জানি না মাঠে থাকা খেলোয়াড়রা করেছে কিনা। কিন্তু সকলেই জানে আমরা গত দুই কি তিন বছর ধরে কি বলে এসেছে। ওরা জানে আমরা একটি দল হিসেবে একত্র এবং আমরা আশা করব আমরা বিদ্বেষকে শুধু ফুটবলেই নয়, জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার লড়াই চালিয়ে যাব।"
এদিকে হাঙ্গেরির কোচ মার্কো রোসি জানিয়েছেন, যদি এই ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে তিনি ইংল্যান্ড দলের পাশেই দাঁড়াবেন। এদিকে হাঙ্গেরিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট সান্দোর সানি ম্যাচ প্রোগ্রামে দর্শকদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন সমস্ত ধরণের বিদ্বেষ, বিভেদ ও লিঙ্গগত মন্তব্য থেকে দূরে থাকতে।
তবে এটিই নতুন নয় হাঙ্গেরিয়ান দর্শকদের। এর আগে গত জুন মাসে প্রীতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে 'বু' করেন দর্শকরা। এছাড়া ফ্রান্সের সাথে ড্রয়ের পর 'বাঁদর' মন্তব্য উড়ে আসে ফরাসি খেলোয়াড়দের উপর।