এই তিন বিভাগের খামতি নিয়ে কাজ করতে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : সদ্য আইপিএল ২০২৩ নিলামে সব থেকে কম অর্থ নিয়ে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু শেষ অবধি নারায়ণ জগদীশান, শাকিব আল হাসান, লিটন দাসদের সই করিয়ে বেশ ভালো মানের দল গড়েছে কলকাতা। ২০২২ আইপিএলের হতাশাজনক পারফর্মেন্স ভুলে, এবারের আইপিএল ভালো পারফর্ম করার প্রয়াসে থাকবে নাইটরা।
এছাড়া হেড কোচ হিসেবে অভিজ্ঞ চন্দ্রকান্ত পন্ডিতের আগমণে কোচিং স্টাফও যথেষ্ট ভালো কেকেআরের। এবং খাতায় কলমে দেখা যাচ্ছে, বেশ ভালো ভারতীয় ব্রিগেড রয়েছে নাইটদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই তিন জায়গায় খামতি বেশ ভোগাতে পারে নাইটদের।
১। ভালো উইকেটকিপার-ব্যাটারের অভাব
গত বছর কলকাতার বড় অভাব ছিল এই ভালো মানের কিপার-ব্যাটারের অভাব। এবং এই বছর সেই বিভাগে লিটন দাস ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের মত দুই আন্তর্জাতিক মানের কিপার-ব্যাটার পেয়েছে নাইটরা। টি২০ আন্তর্জাতিকে ১৩৮ এর বেশি স্ট্রাইক রেট রয়েছে গুরবাজের, এদিকে টি২০ ক্রিকেটে ১৪০০ এর বেশি রান রয়েছে লিটনের। কিন্তু আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে এই দুজনের। পাশাপাশি ভালো মানের এক ভারতীয় কিপার-ব্যাটারের প্রয়োজন ছিল নাইটদের।
২। ডেথ বোলিং
গত বছরের মত এই বছরও কেকেআরের বড় সমস্যা হতে পারে ডেথ বোলিং। গত মরশুমে নাইটদের ডেথ ওভারে ইকোনমি ১০.৩, যা অত্যন্ত বেশি। এই বছর কলকাতার হাতে কেবল লকি ফার্গুসন ছাড়া ভালো কোনও ডেথ বোলার নেই। আন্দ্রে রাসেল ডেথে ভালো বোলিং করলেও ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে। উমেশ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তীর ডেথ বোলিংয়ে অভিজ্ঞতা প্রায় নেই। সুনীল নারাইনকে মাঝের ওভারে আনা হয় উইকেট তোলার জন্য। ফলে ডেথ ওভারে ভালো অপশনের অভাব রয়েছে নাইটদের।
৩। ওপেনিং জুটি
কলকাতার আরও একটি বড় চিন্তা হল ভালো ওপেনিং জুটি তৈরি করার। সম্ভবত আসন্ন মরশুমে কলকাতার হয়ে ওপেন করতে পারেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার, যিনি গত মরশুমে অত্যন্ত খারাপ পারফর্ম করেছেন। ২০২২ আইপিএলে ১২ ম্যাচে ১০০ এর সামান্য বেশি স্ট্রাইক্রেটে ১৮২ রান করেছেন ভেঙ্কটেশ।
এবং ভেঙ্কটেশের সাথে জুটি বাঁধার ক্ষেত্রে হাতে অপশন রয়েছে নাইটদের। নারায়ণ জগদীশান, গুরবাজ ও লিটন দাস ওপেন করতে পারেন। কিন্তু এই তিন ব্যাটারের কারোরই আইপিএল অভিজ্ঞতা সেভাবে নেই। এছাড়া সুনীল নারাইনকে দিয়ে পুনরায় হয়ত ওপেন করাতে পারে নাইটরা। কিন্তু দুই বাঁহাতি ব্যাটারকে দিয়ে ওপেন করানোর চিন্তাভাবনা হয়ত করবে না নাইটরা।