কেন ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মারিও রিভেরা? জানতে পড়ুন...

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রথম মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে আসার পর বিনিয়োগকারী সংস্থাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন মারিও রিভেরা। তবে চলতি মরসুম শেষ হওয়ার আগেই লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটালেন দলের স্প্যানিশ কোচ। ৩১ মে পর্যন্ত সব ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও, একমাস আগেই সবার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বিনিয়োগকারী সংস্থা। এমনকি মারিও ও তাঁর ফুটবলারদের শেষ মাসের বেতন পর্যন্ত দিতে রাজি নন অজিৎ আইজ্যাক। আর এতেই বেজায় চটেছেন তিনি। বুধবার এক্সট্রাটাইম'এর ইউ টিউব লাইভ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মারিও। সেই প্রসঙ্গ উঠে আসতেই তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়। শেষ মাসের বেতন না পেলে তিনি ও ফুটবলাররা যে ফিফার দ্বারস্থ হবেন সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন।
মারিও'র বিস্ফোরক মন্তব্য, "এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এর আগে বিনিয়োগকারী সংস্থা খুবই পেশাদারি মানসিকতা নিয়ে কাজ করেছে। তাই ওদের এমন সিদ্ধান্তে আমরা সবাই হতবাক। ইস্টবেঙ্গল দলকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য ওরা অনেক কাজ করেছে, তাই তাদের কাছ থেকে এমন ব্যবহার পেয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছি। এবং জানিয়ে রাখি ওরা কিন্তু বিশাল বড় ভুল করল। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।" আর একইসঙ্গে তিনি ফের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বলে দেন, "আমরা সবাই অজিত আইজ্যাক ও সঞ্জিত সেন'কে চিঠি লিখেছি। এবং ওদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি। উত্তর সন্তোষজনক হলে খুব ভাল। আর সেটা না হলে আমরা কিন্তু জোট বেঁধে ফিফার দ্বারস্থ হব। কারণ, আমরা কিন্তু এই টাকার জন্যই মাঠে লড়াই করি। তাই নিজেদের হকের পাওনা-গন্ডা বুঝে নিতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব।"
এবার প্রশ্ন হল আপনারা কবে নাগাদ ফিফার কাছে চিঠি লিখবেন? মারিও'র কড়া প্রতিক্রিয়া, "আপাতত বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি। চিঠি এলে ভাল। না এলে আশাকরি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমাদের সাহায্য করবে। এই বিষয়ে এমন একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি, যিনি এই ব্যাপারগুলো বেশ ভাল বোঝেন।" বিনিয়োগকারী সংস্থার গতিবিধির দিকেও ক্লাব কর্তারা নজর রেখে চলেছেন। তাই এই বিষয়ে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, "শুনেছি একটা সমস্যা হয়েছি শুনেছি। আমার মনে হয় উভয়পক্ষই এই সমস্যা মিটিয়ে নিতে আগ্রহী হবে। এবং সেটা মিটে গেলেই ফুটবলের মঙ্গল।"