এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ ২০২৬ কোয়ালিফায়ার্স: থাইল্যান্ড সফরের জন্য ২৪ সদস্যের ভারতীয় দল ঘোষণা করলেন কোচ ক্রিসপিন ছেত্রী

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ ২০২৬ কোয়ালিফায়ার্সের জন্য থাইল্যান্ড সফরের ২৪ সদস্যের ভ্রমণকারী দল ঘোষণা করেছেন ভারতীয় সিনিয়র মহিলা ফুটবল দলের প্রধান কোচ ক্রিসপিন ছেত্রী।
এই ভ্রমণকারী দল থেকে শেষ ২৩ জনের মূল স্কোয়াড কোয়ালিফায়ার্সের প্রথম ম্যাচের আগেই ঘোষণা করা হবে। গ্রুপ ‘বি’-তে থাকা ব্লু টাইগ্রেসরা ২৩ জুন মঙ্গোলিয়া, ২৯ জুন তিমোর লেস্টে, ২ জুলাই ইরাক এবং ৫ জুলাই স্বাগতিক থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। সবগুলো ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারিত হবে থাই মহিলা ফুটবলের ফেসবুক পেজ ও চ্যাংস্যুক ইউটিউব চ্যানেলে।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় মূল টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। পাশাপাশি এই এশিয়ান কাপ, ২০২৭ সালে ব্রাজিলে হতে যাওয়া ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার হিসেবেও কাজ করবে।
ক্রিসপিন ছেত্রী ও তাঁর দল সোমবার সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডে পৌঁছান এবং প্রথম ম্যাচের আগে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিয়াং মাইয়ে এক সপ্তাহ অনুশীলন করবেন। সবগুলো ম্যাচ হবে চিয়াং মাইয়ের ৭০০তম বার্ষিকী স্টেডিয়ামে। কোয়ালিফায়ার্সের প্রস্তুতি হিসেবে দলটি বেঙ্গালুরুর পদুকোন-দ্রাবিড় স্পোর্টস সেন্টারে ছয় সপ্তাহের ক্যাম্প করেছিল এবং গত ৩০ মে ও ৩ জুন উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল, যেটি দুটোতেই ০-১ ব্যবধানে হেরে যায় ভারত।
কোচ ছেত্রী বলেন, “বেঙ্গালুরুতে প্রস্তুতিতে আমি সন্তুষ্ট। আমরা ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অনুশীলন করেছি। মাঠ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছিল দুর্দান্ত। দলের মধ্যে তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সুন্দর মিশ্রণ রয়েছে। যদিও করিশ্মা (শিরভইকার), সন্দিয়া (রঙ্গনাথন) এবং রেনু চোটের কারণে বাইরে চলে গিয়েছে, যা ফুটবলের অঙ্গ। তবে পিঙ্ক লেডিস কাপের (ফেব্রুয়ারি) দলের তুলনায় এবার আমাদের দলে অনেক বেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে।”
উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচে কোচ বিভিন্ন রণকৌশল ও কম্বিনেশন যাচাই করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে আটজন খেলোয়াড়কে রোটেট করা হয় এবং মোট পাঁচজন নতুন মুখকে আন্তর্জাতিক অভিষেক করানো হয়।
“আমাদের এই দুই প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য পরিষ্কার পরিকল্পনা ছিল। আমাদের কোয়ালিফায়ার্সে ১৩ দিনের মধ্যে চারটি ম্যাচ খেলতে হবে, তাই প্লেয়ার রোটেশন ও রিকভারি খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা অনেক বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু ফিনিশিংয়ে ঘাটতি ছিল—এটাই এখন আমাদের উন্নতির ক্ষেত্র,” বলেন ছেত্রী।
চিয়াং মাইয়ের আর্দ্র আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে ব্লু টাইগ্রেসরা একটি সপ্তাহ আগে শহরে পৌঁছেছে, এবং তিমোর লেস্টের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে পাঁচদিনের ব্যবধান রয়েছে, যা রিকভারির জন্য উপযুক্ত সময়।
“ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের আগেভাগেই পাঠানোর জন্য। এই সপ্তাহটা আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেঙ্গালুরুতে আবহাওয়া ছিল মনোরম, কিন্তু চিয়াং মাই বর্তমানে খুব গরম ও আর্দ্র। তাই এই প্রস্তুতির সময় আমাদের অনেক সাহায্য করবে,” ছেত্রী যোগ করেন।
গোলকিপার: এলাংবাম পন্থই চানু, মোইরাংথেম মনালিশা দেবী, পায়েল বসুড়ে
ডিফেন্ডার: হেমম শিল্কি দেবী, কিরণ পিসদা, মার্টিনা থোকচম, নগমবম সুইটি দেবী, ফানজুবাম নির্মলা দেবী, পূর্ণিমা কুমারী, সঞ্জু, সরোখাইবম রঞ্জনা চানু
মিডফিল্ডারস: অঞ্জু তামাং, গ্রেস ডাংমেই, কার্তিকা অঙ্গমুথু, নংমাইথেম রতনবালা দেবী, প্রিয়াধর্শিনী সেল্লাদুরাই, সংগীতা বসফোরে
ফরোয়ার্ডস: লিন্ডা কোম সের্টো, মালবিকা পি, মনীষা কল্যাণ, মনীষা নায়েক, প্যারি জাক্সা, রিম্পা হালদার, সৌম্যা গুগুলোথ
কোচিং স্টাফ:
প্রধান কোচ: ক্রিসপিন ছেত্রী
সহকারী কোচ: প্রিয়া পিভি
সহকারী কোচ: নিবেদা রামদোস
গোলকিপার কোচ: মারিও লুইস আগুইয়ার
স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ: চেলস্টন পিন্টো
২৩ জুন: মঙ্গোলিয়া বনাম ভারত
২৯ জুন: ভারত বনাম তিমোর লেস্টে
২ জুলাই: ভারত বনাম ইরাক
৫ জুলাই: থাইল্যান্ড বনাম ভারত