কোন পরিকল্পনায় একের পর এক দুরন্ত ফ্রিকিক নেন লিওনেল মেসি? জানুন রহস্য

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : লিওনেল মেসির পায়ে জাদু আছে। সেই জাদুবলে একের পর এক ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে গোলের মুখে পৌঁছে যান আর্জেন্টাইন বরপুত্র। তবে মেসির এত গোল রয়েছে, তার মধ্যে বেশ কিছু রয়েছে একের পর এক অনবদ্য ফ্রিকিকে। সম্প্রতি ক্লাব বিশ্বকাপে পোর্তোর বিরুদ্ধে দুরন্ত ফ্রিকিকে ইন্টার মায়ামিকে জেতান মেসি। আর এখানেই প্রশ্ন আসে কিভাবে এমন দুর্দান্ত উপায়ে ফ্রিকিক মারেন মেসি?
ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা ছিল মেসির পায়ে, কিন্তু ফ্রিকিকটা সহজাত ছিল না। তার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে মেসিকে। ২০০৭ সালে যখন জাতীয় দলে খেলছেন মেসি, কোচ আলফিও বাসিল সেই বছরের কোপা আমেরিকায় তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ফ্রিকিকে বলে আঘাত করার সময় বাঁ পা আরও সামনে এগিয়ে আনা উচিত। তাতে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বলের গতি আরও বাড়ানো সম্ভব।
তারপর থেকে ফ্রিকিক নিয়ে অনবরত অনুশীলন করে যান লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার সে সময়ের ফিটনেস কোচ হুয়াঞ্জো ব্রাউ একবার বলেছিলেন, যতক্ষণ না সঠিক ফ্রিকিক মারতে পারছিলেন, ততক্ষণ মাঠ ছাড়তেন না মেসি। আর তারই সুফল এসেছিল ২০০৮ সালে, যখন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের প্রথম ফ্রিকিক গোল করেছিলেন মেসি। আজ সেই সংখ্যাটা পৌঁছেছে ৬৮তে, যার সাম্প্রতিকতম এসেছে পোর্তোর বিরুদ্ধে ক্লাব বিশ্বকাপে।
ম্যাচ জেতানো সেই ফ্রিকিক নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেসি বলেছিলেন, "দেওয়াল একটু লম্বা খেলোয়াড়দের নিয়ে বানানো হয়েছিল। খেয়াল করলাম, গোলকিপার মাঝে একটু দাঁড়িয়েছিল। তার কাছের পোস্টে জায়গা ফাঁকা। সে একটু কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিল। মানবদেওয়ালের ওপর দিয়ে বল পাঠানো কঠিন ছিল, কারণ, লম্বা খেলোয়াড়েরা দাঁড়িয়েছিল। গোলকিপারের পাশ দিয়ে বলটা গেছেও জোরে, একদম ঠিক জায়গা দিয়ে যাওয়ায় আমি ভাগ্যবান।"