চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে হারের জের। সমর্থকদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ প্যারিস। বিস্তারিত পড়ুন...

এক্সট্রা টাইম নিউজ ডেস্ক : তাঁদের দল যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলবে সেটা ভাবতেও পারতেন না প্যারিস সাঁ জাঁরমা'র সমর্থকরা। তবে এবার তাদের প্রিয় দল ফাইনালে উঠলেও, হাতে ট্রফি তুলতে পারেনি। সম্ভবত সেইজন্যই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হাতছাড়া হওয়ায় প্যারিসের ফুটবলপ্রেমীরা নিজেদের সামলে রাখতে পারলেন না। তাঁদের সেই হতাশার বহিঃপ্রকাশ হল হিংসার মাধ্যমে। বায়ার্নের কাছে হারের পর শান্ত প্যারিসকে রীতিমতো অশান্ত করে ফেললেন একদল পিএসজি সমর্থকরা। গোটা প্যারিস জুড়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর এসবই হল। আর সবকিছুই ঘরল করোনা আতঙ্ককে ছাপিয়ে। এমনকী করোনার আতঙ্কও রাশ টানতে পারল না সমর্থকদের আবেগে। শেষপর্যন্ত এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিকে কাবু করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হল। ছুঁড়তে হল কাঁদানে গ্যাসও। ঘটনায় প্রায় ১৫০'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখার জন্য পিএসজি'র নিজস্ব স্টেডিয়ামে দুটি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। যদিও কোভিড পরিস্থিতির জন্য স্টেডিয়ামে মাত্র ৫ হাজার সমর্থক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন। সেটা নিয়ে সমর্থকদের একাংশের মধ্যে চাপা অসন্তোষ ছিল। খেলা শুরুর পরেও একাধিক মানুষ স্টেডিয়ামের দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফলে বাড়ছিল হতাশা। এরপর তাদের প্রিয় দল হারতেই হতাশা-ক্ষোভ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাঁরা শহরের বিভিন্ন ক্যাফে ও বার ভাঙচুর করেন। প্যারিসের পশ্চিম প্রান্তে রীতিমতো রাস্তায় নেমে গাড়ি এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা। পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠি চার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। বহু সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাতারের বিনিয়োগকারীরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে নেইমার, এমবাপেদের কিনেছিলেন। সেই তারকারই ফাইনালে হতাশ করলেন। কিংসলে কোমানের একমাত্র গোলে প্যারিস সাঁ জাঁরমা'কে হারিয়ে ষষ্টবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল বায়ার্ন মিউনিখ। ট্রফির এত কাছে গিয়েও হার মানলেন নেইমার'রা। তাই হয়তো সমর্থকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল প্যারিস।